মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই !

0

জুবায়ের সিদ্দিকী : মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কে প্রকৃত আর কে ভুয়া এ নিয়ে নতুন করে যাছাই বাছাই করা হচ্ছে। যাছাই বাছাই কার্যক্রমে নিযুক্তদের বিরুদ্ধেও উঠেছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ। সারা দেশ থেকে চিঠি, ফ্যাক্স ও ই-মেইলে এসব অভিযোগ আসতে থাকায় যাছাই বাছাই কমিটিগুলো দফায় দফায় সংশোধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা আনুষ্টানিকভাবে চিঠি দিয়ে দাবী করেছেন, যাছাই বাছাই কমিটির ওই সদস্যদের সত্যিকার পরিচয় যাছাই বাছাই করা উচিত।

কারও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সাধারন মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম তুলে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা পুরনো তালিকায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যারা নতুন করে সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তাদের ব্যাপারে যাছাই বাছাইয়ের জন্য মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় ১২ জানুয়ারী একটি গেজেট প্রকাশ করে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে জমা পড়েছে প্রায় দেড়লাখ আবেদন।

সারাদেশে আবেদন যাচাই বাছাইয়ের জন্য ৪৮৮ টি উপজেলা ও ৮টি মহানগর কমিটি কাজ শুরু করেছে ২১ জানুয়ারী। বৃহত্তর চট্টগ্রামের অনেক উপজেলায় চলছে অনিয়ম ও নয়ছয় হিসাব। যেমন-বাঁশখালীতে যাছাই বাছাই কমিটিতে রাখা হয়নি যুদ্ধকালীন কমান্ডার বা গ্রুপ কমান্ডারদের কাউকে। এমন একজনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে লাল মুক্তিবার্তা বা গেজেটে তার নাম নেই। অপরদিকে মীরস্বরাই উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে।

অথচ তিনি বাঁশাখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের চেনেন না। যারা সবাইকে চেনেন যুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার (বাঁশখালী ও কুতুবদিয়া) ডা. আবু ইউছুফ চৌধুরী বা সাবেক থানা কমান্ডার সরওয়ার উদ্দিন ও অসিত সেনকেও রাখা হয়নি। যে কারনে যাছাই বাছাই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.