চট্টগ্রামে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে কোটি টাকার ফুল ব্যবসা

0

গোলাম সরওয়ার : বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে চট্টগ্রামে কয়েক কোটি টাকার ফুলের জমজমাট ব্যবসা হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার থেকেই জমে উঠেছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার মোমিন রোড়ের ব্যবসা। এতে অন্তত কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সময়ের ব্যবধানে ফুল নিত্যপ্রয়োজনীয় নাগরিক পণ্যের রুপ পেয়েছে। নগরীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ফুলের চাহিদা। নগরীর চেরাগী পাহাড়, মোমিন রোডসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফুলের দোকান। শুধু চেরাগী পাহাড় ও মোমিন রোড় এলাকাতেই গড়ে উঠেছে অর্ধশত ফুলের দোকান। ভোর থেকে গভীর রাত অবধি মোমিন রোডের ফুলের দোকানগুলোতে ফুল বেচাকেনার ব্যস্ততা একটি পরিচিত দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর হরেক রকম বাহারী ফুলের স্তবক, মালা, বুকেট, সাজঝুড়িতে দোকানের বর্ণালী আলো পড়ে এক অপরূপ নান্দনিক দৃশ্যের সৃষ্টি করছে। চট্টগ্রামসহ দেশের নানা স্থানে আজকাল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ হওয়ায় নানা ধরনের ফুলের নিয়মিত সরবরাহ আসছে। অন্যদিকে গত ক’বছরে ফুলের দামও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসছে বলে জানান মোমিন রোডের ফুলের দোকানী ও ব্যবসায়ীরা।

নগরীতে প্রতিদিন পাইকারী বাজারে ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয়। বিশেষ বিশেষ দিবসে (পহেলা বৈশাখ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে) এ বিক্রি বেড়ে কয়েকগুনে দাঁড়ায়। এসব দিবসে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে জানান ফুল ব্যাবসায়ীরা। তাই এসব দিবসকে ঘিরে দোকানে দোকানে দেশীয় ও আমদানি করা রকমারি ও বাহারি ফুলের বিশাল মজুদ গড়ে তোলা হয়।

চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু নাসের মো. গণি বলেন, প্রধান ফুল বিপণন কেন্দ্র চেরাগী পাহাড়সহ নিগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ২৭০টি দোকান। এসব দোকানে এবার ৪ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে জানান ।

চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিপলু বলেন, মোমিন রোডসহ চট্টগ্রামের সকল ফুলের দোকানে যেসব ফুল বিক্রি হচ্ছে তার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। নগরীর ৪০ শতাংশ ফুলের যোগান আসে চট্টগ্রামের চাষীদের কাছ থেকে। বাকী ৪০ শতাংশ ফুল আসে ঢাকা ও যশোরের চাষীদের কাছ থেকে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.