কারাগার এখন সংশোধনাগার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিটিনিউজ ডেস্ক::স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সরকার কারা বিভাগের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে আজ কারা বিভাগের অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় আজ কারাবন্দিদের মোবাইল/টেলিফোনে পরিবারের সাথে কথা বলার দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্পর্শকাতর বন্দীদের কারাগার থেকে আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে।
কারা প্রশাসন র্যাবের সহযোগিতায় বন্দীদের ডাটাবেজ তৈরি করছে। যাতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
রবিবার দুপুরে কারা সপ্তাহ- ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় কারাগার শুধু সাজা কার্যকরের স্থান হিসেবে পরিগণিত হতো। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ জেল তার পূর্বতন ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে নতুন পথের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কারাগার এখন সংশোধনাগার। কারাকর্মীরা কারাবন্দিদের সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসন করছেন। সেই চেতনা ধারণ করে পালিত হচ্ছে কারা সপ্তাহ। যা শুধু কারা বিভাগের নয় আমাদের সরকারের সফলতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
স্বরাষ্টমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে কারা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নের জন্য ‘কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি’ রাজশাহী, কারা নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্প’, মহিলা কারারক্ষীদের আবাসন সমস্যা নিরসনকল্পে ‘মহিলা কারারক্ষী আবাসন প্রকল্প’ এবং ‘ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্প’ সরকার একনেকে অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কারা বিভাগের জন্য তিন হাজার ১০৭ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। আশা করি অতি শিগগিরই এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তাছাড়া সরকারি অন্যান্য পোশাকধারী সংস্থার সাথে মর্যাদার/পদোন্নতির সামঞ্জস্য খতিয়ে দেখে গ্রেড উন্নতকরণের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’
এর আগে সকালে প্রধান অতিথি কারাগার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। মন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন ও বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সেরা জেল ও বিভাগকে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ক্রেস্ট প্রদান করেন।
পরে তিনি কারারক্ষীদের মনোমুগ্ধকর শারীরিক কসরত প্রদর্শন উপভোগ, কেন্দ্রীয় প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন, রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, প্রিজন পপুলেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০১৭ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বিশেষ দরবারে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস.এম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ কারা বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা।