সিটিনিউজ ডেস্ক::বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।
গতকাল ৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেকে বলব নিজেদের রাষ্ট্রের মানবাধিকারের ওপর সবিনয়ে নজর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেলে মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেকাংশে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো। তাদের দেশে প্রতিবছর পুলিশের গুলিতে ১১শ লোক মারা যান। যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো মানুষের জীবনও মূল্যবান’ এ শিরোনামে আন্দোলন গড়ে উঠেছে।
জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দেশে পুলিশের গুলিতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে পুলিশের গুগিতে তখনি কেউ মারা যায়, যখন সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা করতে পাল্টা গুলি করে।
ড.ইউনূসকে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া বক্তব্য তার নিজের মতামত বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, আপনারা হয়তো কিছুদিন পর দেখবেন অর্থমন্ত্রী তার এ বক্তব্যের সঙ্গে নিজেই দ্বিমত প্রকাশ করছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যে কেউ তার মতামত দিতে পারে। এটাই আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র।
ড.ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে সম্মানের সঙ্গে ভিক্ষা দান করা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটি চালু হয়েছে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বিদেশি বেনিয়াদের সহায়তায়। এ ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে আপনাকে ১০ টাকা ঋণ দেবে। বিনিময়ে ২০ টাকা আদায় করবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন ক্ষুদ্র অনুধান। ক্ষুদ্র অনুধান হচ্ছে দেশের মানুষ ১০ টাকা জমাবে আর সঙ্গে সরকার আরও ১০ টাকা দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।