চন্দনাইশ হাসপাতালটি পরিত্যক্ত এবং ঝরাজীর্ণ

0

মো. দেলোয়ার হোসেন : সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে। এ লক্ষ্যে একটি আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের পাশাপাশি ডাক্তার, নার্সদের বসবাসের জন্য পৃথক পৃথক ৩টি তিনতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
সে হিসেবে ২০০২ সালে হাসপাতাল ভবনের নির্মাণের পাশাপাশি এ ৩টি আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ কার্যাদেশ প্রদানের মাধ্যমে শুরু করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কয়েক বার কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে হাসপাতাল ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন করে যেনতেনভাবে বুঝিয়ে দিলেও শেষ করতে পারেনি তিনটি আবাসিক ভবনের কাজ। অনেক চড়া-ওৎরায় পেরিয়ে তিনতলা বিশিষ্ট ৩টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করার পর কিছু দরজা-জানালা স্থাপন করা হয়।

পরবর্তীতে ঠিকাদার ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে কাজ ফেলে চলে যাওয়ার পর কিছু দুস্কৃতিকারী এ সকল ভবনের দরজা-জানালা খুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে ডাক্তার ও নার্সদের ৩টি আবাসিক ভবন পরিত্যক্ত এবং ঝরাজীর্ণ অবস্থায় কালের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাসপাতালের বেহাত হওয়া জমি ও পুকুর উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এ পরিত্যক্ত ভবনগুলো মেরামতের অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ঝরাজীর্ণ অবস্থায় ভবনগুলো পড়ে আছে। এ ভবনগুলো সংষ্কারের মাধ্যমে পুনঃ নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.