ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দ্বিতীয় দফায় জারি করা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য।

আগামী ১৫ মার্চ ওই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে ফেডারেল আদালত। এর পরের দিন থেকেই আদেশটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, প্রথম দফার নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল ওই রাজ্য। তবে আগেই অন্য রাজ্যে নির্বাহী আদেশটি স্থগিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় দফার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সেই মামলাটি সংশোধন করে দাখিল করেছে হাওয়াই রাজ্য।

প্রথম আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দ্বিতীয় দফার আদেশে ইরাককে বাদ দেয় নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাকি ছয়টি দেশ হলো ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া ও সোমলিয়া। এছাড়া সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচী বন্ধ রাখা হবে। নতুন আদেশে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

হাওয়াই রাজ্যের মামলায় বলা হয়েছে, এই নির্বাহী আদেশের ফলে হাওয়াইয়ের মুসলিম জনগোষ্ঠী, পর্যটক ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

হাওয়াইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল ডগলাস চেন বলেন, এই রাজ্যের বিশেষত্ব হলো ইতিহাস এবং সাংবিধানিকভাবে কোন বৈষম্য করা হয় না। এখানে ২০ শতাংশ বাসিন্দা বিদেশে জন্ম নেয়া, এক লাখ প্রবাসী বাস করে এবং অন্তত ২০ শতাংশ কর্মী বিদেশি নাগরিক।

তিনি জানান, হাওয়াইবাসী মনে করেন নতুনদের প্রতি ভীতি খারাপ নীতি।

তবে এই মামলার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মার্কিন বিচার বিভাগ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজন। অবশ্য এপি-র খবরে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের এমন একটি দলিল তারা দেখেছে যাতে বলা হয়েছে যাদের বৈধ ভিসা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জন কেলি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের হার অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.