সিটিনিউজ ডেস্ক::বিদেশগামী পুরুষকর্মীদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে তথ্য দিয়েছে সেটি বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। তিনি বলেন, আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তারা এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অভিবাসন বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস-আরবিএমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টিআইবির রিপোর্টকে বর্জনও করছি না আর প্রত্যাখ্যানও করছি না। কারণ এটা বর্জন আর প্রত্যাখ্যান করার বিষয় নয়।’
এসময় সচিব শামছুন নাহার বলেন, ‘আমরা টিআইবির পুরো রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এই প্রতিবেদন আমাদের বিভিন্ন সংস্থা যেমন- বিএমইটি, কল্যাণ বোর্ড ও বোয়েসেলসহ সব সংস্থাকে দেয়েছি। সবার সম্মিলিত মতামত নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষণ করে টিআইবির রিপোর্টের জবাব দেয়া হবে।’
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অভিবাসন প্রক্রিয়া দালালনির্ভর উল্লেখ করে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ওই রিপোর্টে বলা হয়, বিদেশগামী পুরুষকর্মীদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার। অভিবাসন প্রক্রিয়াটি জটিল ও দীর্ঘ হওয়ায় তারা দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন। তারা মনে করে, সরকারের লাইসেন্স পাওয়া রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে বিদেশগামী কর্মীদের সরাসরি যোগাযোগ নেই বলে দালালরা তৃণমূল নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এই দালাল নির্ভরতার কারণে তাদের বিদেশ যাওয়ার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। ‘শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন: সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে তারা এই তথ্য তুলে ধরে।
আজকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে আরবিএমের মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন, সচিব বেগম শামছুন নাহার, বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা। সভাটি পরিচালনা করেন আরবিএমের সাধারণ সম্পাদক ও ইউএনবির সিনিয়র রিপোর্টার মাসউদুল হক। সভায় সভাপতিত্ব করেন আরবিএমের সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার ফিরোজ মান্না। সভায় আরবিএমের নতুন কমিটির সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।