ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক::জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মন্তব্য প্রমাণ করতে বলেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। না পারলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, ‘শিক্ষার মান নিয়ে কথা বলার পূর্বে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে সচেতন থাকা আবশ্যক।’
গত মঙ্গলবার রাজধানীর তিতুমীর কলেজে ‘মানসম্মত শিক্ষা, বিরাজমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খাতা না দেখেই রেজাল্ট দিয়ে দেয়া হয়।’ তিনি দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা এসেছিল। কিন্তু অসুস্থ থাকায় সেই শিক্ষক খাতা দেখতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করেন এবং অনুরোধ করেন, খাতাগুলো ফেরত নেয়ার জন্য। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। কয়েকদিন পর দেখা গেল, সেই পরীক্ষার রেজাল্ট হয়ে গেছে।
ঢাবি উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ‘অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষপ্রসূত।’
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে প্রায়-সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত এবং পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশসহ এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে ফল প্রকাশের প্রশ্নই ওঠে না।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন, সে সম্বন্ধে তিনি কোন শিক্ষাবর্ষের, কোন পরীক্ষার, কোন বিষয়ে ফল প্রকাশ হয়েছে, এর সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। অপর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে ঢালাওভাবে মনগড়া এরূপ বক্তব্য প্রদান উপাচার্যের দায়িত্বশীল পদে আসীন একজন ব্যক্তির পক্ষে কতদূর সমীচীন, তা কারো পক্ষে না বোঝার কথা নয়।’
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে একজন চরম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্বেষী, তার এ বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।