সিটিনিউজ ডেস্ক::গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার বিষয়বস্তু, ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। তারা ইন্সটিটিউটের যে দাবি করছে, এটা বললেই আমরা করে দিতে পারব?’
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউটের দাবিতে গত চার দিন থেকে নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রীরা। তাদের আন্দোলনের কারণে নিউমার্কেট এলাকার আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একই দাবিতে গত বছরের ৪ অক্টোবর নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ করে আন্দোলন করায় শিক্ষামন্ত্রী কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট ঘোষণার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে গাহস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বিষয়ে ছয় মাস আগে গঠিত কমিটির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘গার্হস্থ্য কলেজের দাবি এখন তাদেরকে ইন্সটিটিউট করতে হবে। ইন্সটিটিউট করতে আমাদের এখান থেকে নির্দেশ দিলাম আর হয়ে গেল? ইউনিভার্সিটির একটা ব্যাপার আছে। শিক্ষার বিষয়বস্তু, ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়।
ছয় মাস আগের কমিটি নিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি করে দিয়েছি, তারা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, তাদের যে দাবি (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ) সেটা, কি বললেই করে দিতে পারব? সবকিছু করে রাখলাম, পরে একসময় বিবেচনা করে আমরা দেখব, তারপর জানাব।’
‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমন কাজ করতে পারে না। সেটি একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসির নেতৃত্বে চলছে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার বিষয়গুলো অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় এবং এখানে শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট থাকেন। এমনও হতে পারে, আগুনে খাতা পুড়ে গেল, তখন ওই খাতাগুলোর পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারপরেও এ বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব।’