চট্টগ্রামে নষ্ট রাজনীতির শিকার দিদারুল আলম মাসুম

0

গোলাম সরওয়ার – 

চট্টগ্রামের রাজনীতির মানচিত্রে যারা ত্যাগী, পরিশ্রমী, দলের জন্য নিবেদিত তাদেরকে সহ্য করতে হয় নানা ষড়যন্ত্র। বিশেষ করে সরকারী দলে ল্যাং মারার রাজনীতি এখন ওপেন সিক্রেট। রাজপথে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন, আওয়ামী লীগের দুর্দিনে যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাবরন করেছেন এবং দলের জন্য জীবনকে বার বার মুত্যুর মুখোমুখি করেও মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন তাদেরকে এমন রাজনীতির গ্যাড়াকলে ফেলে সমাজে ও রাজনীতিতে হেয় প্রতিপন্ন করতে তৎপর একটি মহল।

দেশ যখন এগিয়ে চলেছে, আওয়ামী লীগ যখন জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও আওয়ামী লীগ দেশে যখন জনগনের অধিকার আদায়ে বলিষ্ট ভুমিকা রাখছে। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রিমহল তৎপর এই সংগঠনকে দুর্বল করে ত্যাগীদের দল থেকে ছিটকে ফেলার ষড়যন্ত্রে। তেমনই ষড়যন্ত্রের শিকার ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম।

যিনি চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে নানাভাবে শুধু নির্যাতিতই নয়, মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ছিলেন কারাগারে। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি জামায়াত জোটের পেট্রোল সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও নাশকতামুলক কর্মকান্ডের যিনি রাজপথে প্রতিরোধ করেছেন তিনি দিদারুল আলম মাসুম। হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম অচল করার চক্রান্ত সেদিন একাই প্রতিরোধে রাজপথে নেমে আসেন দিদারুল আলম মাসুম।

নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী এই নেতাকে ঘিরে বর্তমানে শুরু হওয়া চক্রান্ত ব্যথিত করেছে নগরীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি ও সংগঠনকে। ভুয়া-মিথ্যা ও ষডযন্ত্রমুলকভাবে অবাস্তব ও কল্পকাহিনী দিয়ে তার বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট করানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। আজকের সুর্যোদয়ের অনুসন্ধানে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় গিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান চৌধুরীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,’ দিদারুল আলম মাসুম এলাকায় একজন সচ্চ রাজনীতিক হিসেবে সুপরিচিত।

প্রশংসিতও হয়েছেন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া জগতে জড়িয়ে। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়ন্ত্রমুলক ভাবে তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় মাঝে মধ্যে স্থানীয় পত্র পত্রিকায় নানা উদ্ভট কল্পকাহিনী প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। চট্টগ্রামে স্বচ্চ রাজনীতিতে যারা জড়িত তাদের মধ্যে মাসুম ভাই একজন। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা, জিডি বা অভিযোগ নেই।

অথচ দুষ্টচক্র তাদের নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং দলের ভাবমুর্তি বিনষ্ট ও ত্যাগীদের অবমুল্যায়ন করার চেষ্টা করে চলেছে। যদিও তারা সফল হবেন না। সাবেক ছাত্রনেতা আজমল জানান, ’ত্যাগী, পরীক্ষিত ও দলের জন্য যারা দুর্দিনে ভুমিকা রেখেছেন তাদের মুল্যায়ন প্রয়োজন। অথচ মাসুম ভাইকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রাখতেই নানা ফন্দিফিকির ও অপপ্রচার চালানো হলেও সত্যকে কেউ ধামাচাপা দিতে পারে না। লালখানবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এফ.কবির মানিক এই প্রতিবেদককে বলেন,’ মাসুম একজন আইনজীবির সন্তান। সে দলের দু:সময়ের ত্যাগী ছাত্রনেতা।

তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। কোন সময়ই ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি, এখনও পারবে না। গনমানুষের নেতা দিদারুল আলম মাসুম স্বৈরাচারী সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে কারফিউ ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল করা ছাত্রনেতা। তার সঙ্গে আছে এলাকাবাসী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আজকের প্রজন্ম। একদিন সব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের অবসান হবে। নব্বয়ের দশকে চট্টগ্রামের ছাত্ররাজনীতি থেকে গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকা রেখে যারা জেল-জুলুম হুলিয়া সত্বেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথ চলেছেন তাদের মধ্যে একজন দিদারুল আলম মাসুম।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রুপিং-কোন্দল ও নোংরা রাজনীতির বিষাক্ত হাওয়া কলুষিত করেছে সমাজকে। ভাল মেধাবী রাজনীতিকদের পিটে মার্কা মেরে দেওয়ার নির্লজ্জ আস্ফালন চলছে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সুস্থ ও গনতান্ত্রিক হবে এটাই কাম্য। কিন্তু নগরীতে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম কোন গ্রুপিং রাজনীতিতে না থাকলেও তার নামে কালিমালিপনের প্রচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন একটি ঘৃন্যমহল।

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে ভদ্র মুখোশের ছদ্মাবরনে থাকা বিএনপি-জামায়াতপন্থী বুর্জোয়া গোষ্টি বরাবরই সহ্য করতে পারেন না ত্যাগী নেতাদের। যার ধারাবাহিকতায় প্রশাসনে, পত্র পত্রিকায় নামে বেনামে ছড়ানো হচ্ছে অপরটনা। বিশিষ্ট আইনজীবি আবদুল হকের পুত্র দিদারুল আলম মাসুম লালখানবাজার এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ইসলামের ইতিহাসে মাষ্টার্স ডিগ্রীধারী মাসুম ১৯৯০-৯১ সিটি কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১-৯৩ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ১৯৯৬ সালে কারাবাসে থেকে তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্যবসা বানিজ্য ও রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছেন। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিকেকেএস) এর কাউন্সিলর ও জেলা কারাতে কমিটির সাধারন সম্পাদক তিনি। তা সত্ত্বেও একটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তালিকায় তার নাম ঢুকিয়ে দেয়ায় বিস্মিত ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন লালখানবাজার এলাকার জনগন।

মাসুম বলেন,’বিএনপি-জামায়াতের দু:শাসনের সময় যখন স্বাধীনতার স্বপক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার জোয়ার শুরু হয়। সেই সময়ও আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেউ করেনি’। তিনি বলেন,’২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল হেফাজত ইসালের চট্টগ্রামে তান্ডবের সময়ে আমি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়ে প্রতিহত করি। যা পরদিন পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। সেদিন নিজের বৈধ লাইসেন্সকরা অস্ত্র তাক করে হেফাজতের নাশকতা প্রতিহত করে গোটা চট্টগ্রামে প্রশংসিত হলেও এখন তার নামে অস্ত্র ব্যবসায়ীর কালেমালিপন করার পেছনে কার কি উদ্দেশ্য তাই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ দাবী এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারনের।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.