ওয়ানডে সিরিজে সমতা আনল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল

0

 সিটিনিউজবিডি  :   ওয়ানডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র জয় ছিল ২০০৭ সালে। আট বছর পর এল দ্বিতীয় জয়। শুধু তাই নয় প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দাপুটে এই জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতাও আনল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা। কিন্তু সফল হননি তিনি। উল্টো টাইগার বোলারদের আগুনমুখো বোলিংয়ে ৪৬ ওভারে মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সাবলিল ঢঙ্গেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। ২৭.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১৬৭। আগামী ১৫ জুলাই চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত ওয়ানডে ম্যাচ।

জয়ের জন্য দরকার ১৬৩ রান। এত অল্প টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের হার্ড হিটার ওপেনার তামিম ইকবাল। পাঁচ রান করে তিনি সেই রাবাদার শিবির। হয়েছেন বোল্ড। এরপর আবারো রাবাদা চমক। ৩.৪ ওভারে প্রোটিয়া এই তরুণ বোলার বোল্ড করেছেন লিটন দাশকে। আউট হওয়ার আগে লিটন করে গেছেন ১৪ বলে ১৭ রান। এর মধ্যে ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কার মার।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের জয়ের ভিত রচনা করেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ১৩৫ রান। ফিফটি করে রিয়াদ আউট হলেও ছক্কা হাকিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য। ৭৯ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬৪ বলে ৫০ করেন রিয়াদ। আর শেষ মুহুর্তে মাঠে নেমে শুন্য রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা দুটি ও অ্যাবোট একটি উইকেট নেন।

২০০৭ ক্যারিবীয়ন ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।  সেই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুল করেছিল সর্বোচ্চ ৮৭ রান। ঐ ম্যাচে খেলা চার ক্রিকেটার আজ খেলেছেন মিরপুরে। তারা হলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান। তবে সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক সৌম্য সরকার। আশরাফুল করেছিলেন ৮৭, সৌম্য অপরাজিত ৮৮।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.