যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্যও নিল একই সিদ্ধান্ত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ব্রিটেনও মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি মুসলিম দেশ থেকে আসা বিমানে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। বিমানের কেবিনে কিছু বড় আকারের স্মার্টফোন বহনও নিষিদ্ধ হবে।

এর আগে আটটি দেশের ডাইরেক্ট ফ্লাইটের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় মার্কিন সরকার এবং এগুলো সবই মুসলিম দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসছে যাত্রীদের। শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের ওপর এটি আরোপ হচ্ছে বলে অনেকে ‘বর্ণবাদী আচরণও’ বলছেন। বিমান যাত্রীদের অনেকেই ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটে গান শোনেন বা সিনেমা দেখেন।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবের এয়ারলাইন্স। এসব দেশ থেকে আসা এয়ারলাইন্সকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চারদিন সময় দেয়া হয়েছে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের এক ব্যবসায়ী ইব্রাহীম কস্কুন বলেন, ‘আজকের দুনিয়াতে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আজকের দিনে প্রযুক্তির অগ্রগতির সময়ে এমন সিদ্ধান্ত খু্ব ভয়াবহ। আজকাল সবার কাছেই একটা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট থাকে। যা তারা নানা ধরনের কাজেই ব্যবহার করে। এমন সিদ্ধান্তের আমি নিন্দা করছি।’

মিশরের নাগরিক আহমেদ র‌্যামজি বলেন, ‘এটি একটি অর্থহীন সিদ্ধান্ত। এধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনোই সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে না।’

এদিকে ব্রিটিশ সরকারের দাবি, বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর মার্কিন সরকারের দাবি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যাত্রীবাহী বিমানকে ইদানিং বেশি লক্ষ্যবস্তু করছে, বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেন, গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বাণিজ্যিক বিমানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে নানা রকম উদ্ভাবনী কায়দা ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.