কিশোরীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর নির্যাতন

0

সিটীনিউজবিডিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেলতৈল গ্রামে কিশোরীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তিন যুবক। অভিযুক্ত যুবকরা শ্রীপুর উপজেলার একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মোজাম্মেল হক (২৮) ও আব্দুল হামিদের ছেলে আলম (৩৫) ও পাশের বারতোপা গ্রামের সবুজ।

এ ঘটনার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রবিবার সারাদিন অভিযুক্তদের লোকজন স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার কৌশল করে ব্যর্থ হন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধর্ষিতাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করতে যান। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এবং ধর্ষিতার বাবা ইছব আলীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে।

নির্যাতিতার বাবা ইছব আলী সাংবাদিকদের জানান, শনিবার ইফতারের পর অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক ও আলম মেয়েকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির পাশেই গভীর বনের ভেতর নিয়ে মেয়েকে ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে। সারারাত মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। ওই রাতে বিভিন্ন স্থানে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হই। রবিবার সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে অভিযুক্ত মোজাম্মেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করি। তাকে পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অভিযুক্তদের পরিবার থেকে মীমাংসার কথা বলে থানায় যেতে বাধা দেয়। সন্ধ্যার পর মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমানের সহযোগিতায় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনা বর্ণনা করি।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে মেডিক্যাল টেস্টের সময় নানা কষ্টের ব্যাখ্যা দিয়ে মামলায় না যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন। পরে ওসি আসাদুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ ধর্ষিতার বক্তব্য শুনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম ধর্ষিতাকে মামলা না করার হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মামলা না করার জন্য হুমকি দেইনি। তবে ঘটনাটি সত্য না, মেয়েটি স্থানীয় সবুজ নামে এক ছেলের সাথে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।

প্রথমে ওই সবুজ বিয়ে করতে চেয়েছিল। পরে সবুজের খালাত ভাই আলম বলে আমার ভাই তোমাকে বিয়ে করবে না। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের পক্ষ এ ঘটনা সাজিয়েছে। মাওনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা মীমাংসার দাবি নিয়ে আমার কাছে আসে। বিষয়টি আমার এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় নির্যাতিতার পরিবারকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

 

সুত্রঃ কালেরকন্ঠ

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.