কর্ণফুলীতে পাওয়া গেল ছাত্রদল নেতার লাশ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের কাতালগঞ্জের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বলে দাবি করছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার সকালে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিএনপির অভিযোগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পুলিশের একটি দল নুরুকে বুধবার রাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার মাথায় গুলি করে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

সকালে স্থানীয় লোকজন লাশের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মরদেহ ছাত্রদল নেতা নুরুর বলে দাবি করেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, রাউজানে এ ধরনের কোনো মরদেহ উদ্ধার কিংবা পড়ে থাকার খবর আমরা পাইনি। থানা থেকে ওসি কিংবা পুলিশ কেউ যায়নি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মবিনুলও এ ধরনের মৃত্যু বা লাশ পড়ে থাকার কথা জানেন না বলে জানান।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সকাল ঘুম থেকে উঠে তারা ঘোরাঘুরির করার সময় উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহ দেখতে পান। এ সময় ছবি তুলে তা ফেসবুকে দেন কয়েকজন। সেখানে লাশটি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরুর বলে চিহ্নিত করেন অনেকে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনছুর আলী জানান, মরদেহটি নুরুল আলম নুরুর। তিনি উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নুরুল আলম বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও রাউজানের সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

এ ব্যাপারে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটা সশস্ত্র দল চকবাজারের কাতালগঞ্জের বাসা থেকে নুরুকে তুলে নিয়ে যায়। দলের কয়েকজন জেলা পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ছিল। কয়েকজন সিভিল পোশাকে ছিল। রাউজান থানার নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এসআই জাবেদ টিমের নেতৃত্ব দেন। কর্ণফুলী পাড়ের মরদেহটি নুরুর বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.