শিশু রাকিব হত্যা: দণ্ড কমল আসামিদের

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে ১২ বছর বয়সী ‍শিশু খুলনার রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির দণ্ড কমিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শরীফ ও মিন্টু নামের দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। গত ২৯ মার্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। তার সঙ্গে রয়েছেন বিলকিস ফাতেমা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল সাংবাদিকদের বলেন, শিশু রাকিবকে বাতাস ঢুকিয়ে মারার বিষয়টি শরীফ ও মিন্টু জানতেন না। শরীফ তাকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। এমনকি নিজের রক্ত পর্যন্ত দিয়েছেন। এসব বিবেচনায় উচ্চ আদালত তাদের সাজা কমিয়েছে। আইনজীবী বলেন, এভাবে বাতাস ঢোকালে মারা যাওয়ার ঘটনাও বিরল। এ বিষয়টিও আদালত বিবেচনায় নিয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আইনজীবী সালমা সুলতানা বলেছেন, তারা এই রায়ে অসন্তুষ্ট। এ ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যা মামলার রায়সহ নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসে। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে তিন আসামির মধ্যে শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ ও তার দূরসম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। আর শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেয়া হয়।

মাত্র ১০ কার্যদিবসে এ মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। বিচার বিভাগের জন্য ইতিবাচক হওয়ায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে মামলাটি।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিবকে হত্যা করা হয়। আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের চার মাসের মধ্যেই খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এই মামলার রায় দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.