অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত তার কাছে দাবি করছি- আ জ ম নাছির

0

গোলাম সরওয়ার :   “উনি কোথায় দেখেছেন আমি হাসতে হাসতে গুলি করতে পারি,১২টা খুনের যে অভিযোগ সেটার তথ্য-উপাত্ত আমি আপনাদের মাধ্যমে তার কাছে দাবি করছি” বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় নগরভবনে চট্টগ্রাম সাবেক মেয়রের করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির এসব বলেন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) লালদীঘি মাঠে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মেয়র নাছির মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

লালদীঘির মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরী সমাবেশ করেছেন উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ওই মঞ্চে কারা ছিল, কে ছিলেন। তাকে চট্টগ্রামের পুলিশ, চট্টগ্রামবাসী, নন্দনকাননবাসী কী হিসেবে জানে। পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি যে ২০১৩-১৪ সালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ছিল। এগুলো কীসের আলামত। উনার লজ্জা থাকা উচিত।

আউটার স্টেডিয়ামের সুইমিং পুল নির্মাণকাজ বন্ধের আলটিমেটাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র নাছির বলেন, পাগলের অনেক পাগলামি। উনি ইরাকে ১০ হাজার যোদ্ধা পাঠাবেন বলেছিলেন। পাঠাইছেন? কাস্টমসের দুর্নীতিবাজদের তালিকা করবেন বলেছেন। করেছেন? এমএ লতিফের মাথায় লাঠি মারতে বলেছেন। উনার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। একই টেবিলে বসে ভাতও খাচ্ছেন। ছালাম সাহেবের ফাঁসি দাবি করেছেন, আবার উনার মেজবানে সবার আগে গিয়ে বসে থাকছেন। উনি তো অনেক কথা বলেন। পাগলে কিনা বলে।

দুজন চিফ ইঞ্জিনিয়ার থাকা প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘উনি (মহিউদ্দিন) কালকে যেগুলো বলেছেন আমার মনে হয়েছে সবই পাগলের প্রলাপ। কারণটা চসিকে দুজন চিফ ইঞ্জিনিয়ার থাকার সুযোগ নেই। চিফ ইঞ্জিনিয়ার কি আ জ ম নাছির উদ্দীন নিয়োগ দেন? চসিকের অর্গানোগ্রাম নেই। আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগের সুযোগ নেই, আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করতে পারি। আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার একজন ডেপুটেশনে আছেন। উনাকে প্রত্যাহার করার চিঠি এলো মন্ত্রণালয় থেকে। আরেকটি চিঠি এলো আরেকজনকে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার মন্ত্রণালয় জানাল আমরা যেন রিলিজ না করি। আমরা তো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। এটি তো মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এটা একধরনের অজ্ঞতা। এ কথা যিনি বলেন, তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে।

গ্রুপিং অবসানের উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে নাছির বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলবেন, সেভাবে করবো। আমাদের হাইয়েস্ট বডি আছে।’

যেখানে যাচ্ছেন জনগণের অন্য ধরনের সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে নাছির বলেন, প্রতিদিন প্রচুর সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। যেখানেই যাই মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটা কাল হতে পারে। ভালোবাসাটা একধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার নতুন কিছু নয়। ২৫-৩০ বছর ধরে করেছেন। মিথ্যা, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আগেও দিয়েছেন। যেগুলো চট্টগ্রামবাসী বিশ্বাস করেনি, আমাদের দলও করেনি। তাই আমি এখন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মেয়র হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছেন। তার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রামবাসী ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।

নগর সভাপতির মিথ্যাচার দেখে গোয়েবল বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন জানিয়ে মেয়র নাছির বলেন, আমি ভুল করলে উনি কি অথরিটি? ভুলের সংজ্ঞা কী? একটি মিথ্যা বারবার বললে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ উনি ৩০ বছর ধরে মিথ্যাচার করছেন। আমি কোন পরিবারের সন্তান, কোন বংশের ছেলে, এ শহরে কতটুকু কী আছে সবচেয়ে বেশি উনি জানেন। চট্টগ্রাম শহরে থাকার মতো মাথাগোঁজার ঠাঁই উনার ছিল না। এগুলো বলতে চাইছি না। আমরা কারও চরিত্র হনন করার পক্ষপাতি নই। নিচু মনের মানসিকতা আমার নেই। কালকে উনি যা করেছেন, সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.