সিটিনিউজ ডেস্ক::বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ বরণ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল শুক্রবার চন্দনাইশের বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তন ও তৎসংলগ্ন মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিযে বৈশাখী মেলা সম্পন্ন হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, র্যালী, পান্তা ভোজন, পীঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি অনুষ্ঠান। র্যালী উদ্বোধন করেন ভাষা আন্দোলন গবেষক, প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা ও বরমা ডিগ্রি কলেজ জিবি’র সদস্য মাহমুদ বিন কাসেম।
মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট কবিশেখর নাথ পিন্টুর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল-র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের ত্রিপুরার বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোবিন্দ ধর, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পদ্মশ্রী মজুমদার, ত্রিপুরার সাহিত্য পত্রিকা কর্মশালা সম্পাদক ড. ফাল্গুনী চক্রবর্তী, ত্রিপুরার কবি অভিক কুমার দে, ইতিহাস গবেষেক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন, ত্রাহিমেনকা সংগীত একাডেমীর অধ্যক্ষ ওস্তাদ হারাধন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বরমা আইডিয়াল কিন্ডারগার্টের-র চেয়ারম্যান মাস্টার আহসান ফারুক, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিকাশ মজুমদার, বরমা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু জাফর, মাস্টার কল্যাণমিত্র বড়–য়া, বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক প্রিয়তোষ সেন, কেশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী আবুল কালাম আজাদ বাবু, এমইউপি হাজী নওশা মিয়া ও মাস্টার সুমন বৈদ্য।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক বুলবুল হোড়, সজল বড়–য়া, রাজীব আচার্য, যুবলীগ নেতা সরওয়ার কামাল লিটন, দেশপ্রিয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক সুবল দেব, চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী অভি, সাধারণ সম্পাদক শান্তনু ধর শান্ত, শিক্ষক উত্তম বড়ুয়া, শিক্ষক মোঃ ওয়াসিম, সংগঠক শুভ চক্রবর্তী, শিক্ষানুরাগী মহিউদ্দিন, সানজীদা সুলতানা, অদিতি হোড়, পিয়াঙ্কা দাশ, প্রমি দাশ, কান্তম দাশ, রাকেশ দাশ, রিয়া পাল প্রমূখ।
মেলা অনুষ্ঠানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চ বিদ্যালয়, বরমা উন্নতমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গবেষণা সংস্থা মানুষের ঠিকানা, খেলাঘর-চন্দনাইশ উপজেলা, দেশপ্রিয় খেলাঘর আসর, সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ, বরমা ত্রাহিমেনকা সংগীত নিকেতন ইত্যাদি। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। বাঙালির ঐতিহ্য দেশ সংস্কৃতির প্রকৃত আয়না পহেলা বৈশাখের সম্মিলিত জাগরণ। এই জাগরণ আমাদের নতুন চেতনায় শাণিত ও উজ্জ্বীবিত করবে। কোন রকম সংকীর্ণতা নয়, পহেলা বৈশাখ বাঙালীর জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করা উচিত।