সিটিনিউজ ডেস্ক::‘পরিবহন মালিকরা সাধারণ মানুষ নয়। তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে মনিটরিং করছে’।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
গত কয়েক বছর ধরেই বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় সিটিং, স্পেশাল, ডাইরেক্ট বা কম স্টপেজ নামে নানা সার্ভিস চালু করে পরিবহন মালিকরা। সিটিং সার্ভিসের এমন কৌশল করায় ওবায়দুল কাদের অসন্তোষের কথা জানালে ৪ এপ্রিল বাস মালিক সমিতি সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। ১৫ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু ঘোষণা দিয়েও সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়নি-এই বাস্তবতায় বাস মালিকদের বাধ্য করতে অভিযানে নামে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই পরিস্থিতিতে সিটিং বা ডাইরেক্ট নামে চলা বাসের একটি অংশ লোকাল হিসেবে চললেও ইচ্ছেমতো তারা সেবার মান কমিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাসের যাত্রী উঠানো, বাস কম নামানো ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে নৈরাজ্যকর বলে স্বীকার করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন খানে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে সেটাকে নৈরাজ্য ছাড়া আর কি বলা যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেই তারা গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে। তবে এ ভোগান্তি দূর করতে আমি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর আগামীকাল বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ওই বৈঠকে বাস্তবভিত্তিক সমাধান আসতে পারে বলে আশা করছি।’
এ সময় বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাফিয়া গাজীর পরিবারকে আড়াই লাখ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী। ১৯৯১ সালে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছিলেন নাফিয়া গাজী। এজন্য সরকার ওই ছাত্রীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার অঙ্গিকার করে। আজ আড়াই লাখ টাকা দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি টাকা দেয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।