বাস মালিকদের আবদার মানার ইঙ্গিত সড়ক মন্ত্রীর

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::রাজধানীতে সিটিং পরিবহন বন্ধ হওয়ার চতুর্থ দিনে জনভোগান্তি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এমন কোন সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি না, যাতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।’

বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ঢাকা-কক্সবাজার সড়কের একটি বাস উদ্ভোধনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিকাল চারটায় বিআরটিএ ভবনে মিটিং হবে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্ধ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সবাই বিআরটিএ ভবনের এই মিটিং এ থাকবেন। গত চার দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে ওই মিটিংয়ে।’

নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে রাজধানীতে চালও হওয়া সিটিং, আল্লাহর কসম সিটিং, ডাইরেক্ট, স্পেশাল বা কম স্টপেজ নামে বাসের বিরুদ্ধে ওবায়দুল কাদের এতদিন কথা বলেছেন প্রকাশ্যেই। আর বাস মালিকরা ঘোষণা দিয়ে এসব সার্ভিস বন্ধ রাখার পর অতিরিক্তি ভাড়া আদায় চালু রেখে যাত্রীদের নানা হয়রানি চালিয়ে রাখে।

বাস মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে উল্টো এদেরকে প্রভাবশালী আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদেরকে জোর করে বাস নামাতে বাধ্য করা কঠিন। আর পরদিন কার্যত বাস মালিকদের অবৈধ সার্ভিস চালু করার ইঙ্গিতই দিয়ে দিলেন মন্ত্রী।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে ঢাকায় সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণা আসার পর মন্ত্রী মানিক মিয়া এভিনিউয়েই এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সিটিং বন্ধ করে লোকাল হলে সিটিং নামে নেয়া অতিরিক্ত ভাড়াও কমাতে হবে।

তবে আজ মন্ত্রী বলছেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, ‘যদি মনে করা হয় জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার, তাহলে করা যেতে পারে।’ বাস মালিকদের চাপের কাছে সরকার মনীয় কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা চারটায় বিআরটিএ বলবে। আমি বলতে পারি না। আমার জায়গায় আপনারা থাকলে কি এটা বলতে পারতেন?’।

এদিকে পরিবহন মালিকদের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দুই দিন ধরেই বলে আসছেন, সিটিং সার্ভিস আবার চালু করা যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়েই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তারা। আর সিটিং বন্ধের চতুর্থ দিনে পরিবহন শ্রমিকরা রাজধানীতে যাত্রীদের বলে দিচ্ছেন যে, লোকাল আর চলবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.