নিজস্ব প্রতিবেদক::ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডি.আই.) ‘গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও সংস্কার’ (ডিপিআর) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
ডি.আই. এর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের আয়োজনে, “ডেমোক্রেসি চ্যাম্পিয়নস” শীর্ষক সম্মেলনে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
একই সাথে পাঁচ বছর মেয়াদী নতুন আরেকটি প্রকল্প ‘স্ট্রেনথদেনিং পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধন ও এর ক্ষেত্র ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
সম্মেলনটি চট্টগ্রামস্থ “দি পেনিনসুলা চট্টগ্রাম” হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুব ও নারী নেতৃবৃন্দ ডিপিআর প্রকল্পের সহায়তায় তাদের রাজনৈতিক অর্জনের অভিজ্ঞতা ও অর্জন তুলে ধরেন।
সম্মেলনে প্যানেল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম ৩১ সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী।
ডি.আই. এর চীফ অব পার্টি কেটি ক্রোক চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ ও নারী ও যুব নেতৃবৃন্দকে বিগত ছয় বছরে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় তাদের অবদানের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
তিনি জানান, ডিপিআর কার্যক্রমের মাধ্যমে ডি.আই. বাংলাদেশের ৬২ টি জেলায় আড়াই লক্ষেরও বেশি তৃণমূল রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও সংস্কার কর্মকান্ডে যুক্ত করেছে। ডি.আই এর ‘নারীর জয়ে সবার জয়’ নেটওয়ার্ক এ সারা দেশের ৩০ হাজারেরও বেশি নারী নেতৃবৃন্দ যুক্ত ও তাদের মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি নারী রাজনৈতিক দলসমূহের মূল কমিটিগুলোতে ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এছাড়াও সারা দেশ থেকে ২০৭ জন যুব নেতা ডিআই এর “ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম” থেকে চার মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ডিআই ফেলোরা ১৫ হাজারেরও বেশি তৃণমূলের যুব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং তাদের সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে সংযুক্ত করেছে।
সম্মেলনে ডিআই এর নতুন প্রকল্প ‘স্ট্রেনথদেনিং পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্প পূর্ববর্তী ডিপিআর প্রকল্পের ভিত্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, ডিপিআর ও এসপিএল উভয় কার্যক্রমই ইউএসএআইডি ও ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত।