চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে- চেয়ারম্যান
গোলাম সরওয়ার : জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাচীনকাল থেকে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বন্দর অবদান রাখছে । ‘১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম সারির একটি আধুনিক বন্দরে এ রুপান্তরিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল) বন্দর দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টায় শহীদ মুন্সি ফজলুর রহমান অডিটরিয়ামে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে বন্দর চেয়ারম্যান মতবিনিময়ে এসব বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সরকারের রুপকল্প এবং সপ্তম বার্ষিক পরিকল্পনা সামনে রেখে বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ,কর্ণফুলী নদী ও বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিং কার্যক্রম, বে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ, কক্সবাজার রেজুখালে ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি পর্যটনের ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী স্কুল নির্মাণ, শাহ আমানত সেতুর কাছে মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর নির্মাণ, গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় নৌ কমান্ডো অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে চলচিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সালে এ বন্দর ২৩ লাখ টিইইউস কন্টেনার হ্যান্ডেলিং করে। বিগত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয় এবং লয়েড’স লিস্টের জরিপে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ১০০টি কন্টেনার পোর্টের মধ্যে ১১ ধাপ এগিয়ে ৭৬তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছিল। বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বন্দর দিবস উপলক্ষে এবার(২৭,২৮ এপ্রিল) দুইদিন ব্যাপী পোর্ট এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। নবনির্মিত কারশেডে পোর্ট এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৭ এপ্রিল সকালে পোর্ট এক্সপো উদ্বোধন করবেন। ২য় দিনে বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ১০০ টির বেশি স্টল বসবে এক্সপোতে। বন্দরের সব স্টোকহোল্ডারসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বন্দরে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীরা এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবেন। উদ্বোধনী দিনের কর্মসূচিতে আরও রয়েছে বেলা ১২ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পোর্ট এক্সপো’র মুক্তমঞ্চে উন্মুক্ত আলোচনা, মতবিনিময়, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বিনোদন কার্যক্রম এবং সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৮ এপ্রিল শেষদিনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আলোচনা, মতবিনিময়, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বিনোদন কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য,মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বন্দর ভবন চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা ও বন্দরের পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ মুন্সি ফজলুর রহমান অডিটরিয়ামে বিকেল ৪টায় বন্দরের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধিত করেন ।