সিটিনিউজ ডেস্ক::সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ৩০ বছর নামক প্রাচীরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। এই বয়সসীমা বাড়ানোর পাশাপাশি কোটা তুলে দেয়ারও দাবি জানাচ্ছে তারা। সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিছু কুচক্রি মহল প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝাচ্ছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিষদের এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। একজন বলেন, ‘আমরা বলছি না যে আপনারা অযোগ্যদের চাকরি দেন। আমাদেরকে চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ দিন, আমাদের মেধা-যোগ্যতা থাকলে আমরা এমনিতেই চাকরি পাব।’
কোটাভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের সীমা ৩২ করা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা নয়, বরং নিজ মেধার গুণেই চাকরিতে যোগ দেবে।’
সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘সেশন জটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করতে আমাদের প্রচুর সময় লেগে যায়। যেখানে সংক্ষিপ্ত সরকারি চাকরির বাজারে হাজার হাজার আবেদন পড়ে। সেখান থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার ছেলে বেকার। আজকাল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও সরকারি নিয়ম অনুসরন করে ৩০ বছরের উপরে অনভিজ্ঞ কাউকে চাকরি দেয় না।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ ভূঁইয়া বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ভারতে ৩৯ বছর, সিঙ্গাপুর ৪০ বছর, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ বছর। কোথাওবা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাই নেই। সেখানে আমরা সাধারণ ছাত্ররা গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের চাকরিতে প্রবেশসীমা ৩৫ বছর করার দাবি করেও কেন ফল পাচ্ছি না।’
সবুজ ভুঁইয়া বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের সীমা ছিল ২৭ বছর। গড় আয়ু ৫০ হওয়ার পর তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। এখন গড় আয়ু ৭১.৬ মাস হলে চাকরির সীমা কথ হওয়া উচিত?’