আমরা করি উন্নয়ন, বিএনপি চালায় হত্যাযজ্ঞ:প্রধানমন্ত্রী

0

বশির আলমামুন, (কক্সবাজার)::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন করি, বিএনপি ক্ষমতায় এসে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কক্সবাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের পরিবারগুলোর ওপর নির্যাতন করেছে। উখিয়ার বৌদ্ধমন্দিরে আগুন দিয়েছে। ওই সময় বিদ্যুৎকেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে। কক্সবাজারের হিন্দুপল্লীর বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ পালপাড়া, টাইমবাজারে সংখ্যালঘুদের দোকান, বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ওই সময়। ২০ হাজার একর বনভূমি বিএনপি ক্যাডাররা দখল করে নিয়েছে।

শনিবার বিকালে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সমভাপতিত্বে সভায় ঘড়ির কাঁটা বিকাল ঠিক ৩টা বেজে ৪৭ মিনিটে বক্তৃতা দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শুধু কক্সবাজার নয়, পুরো দেশের অনেক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই শোক, সেই ব্যথা নিয়েও আমি আপনাদের কল্যাণে আপনাদের মাঝে ছুটে এসেছি।’ উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেছিলাম। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সেটা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর মামলা হামলা চালায়। আমার ওপর গ্রেনেড হামলা করে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই সৃষ্টি করে। আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূল করি। তাই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে সার্বিক উন্নয়নে আবারও কাজ শুরু করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা আসেন। সে বিবেচনা করে আমরা এখানে বিমানের বোয়িং চলাচল শুরু করেছি। ভবিষ্যতে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। এর আগে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ১৬৫জনকে হত্যা করেছে। পরিবহন খাতে ৫৫জন চালক হেলপারকে হত্যা করেছেল, ৫৮২স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রান্তা চারলেনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। মহেশখালী দ্বীপে চর জেগেছে, সেসব এলাকা উন্নত করে কক্সবাজারসহ যেন বাংলাদেশ উন্নত হয় সে ব্যবস্থা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর স¤প্রসারণ করতে যে মানুষগুলো আছে, তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দেওয়া হবে। আমরা গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কাজ শুরু করেছি। শিল্পায়নের জন্য সারা বাংলাদেশে আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। ট্যুরিস্ট জোন তৈরি করে দেওয়া হবে। নাফ ট্যুরিজম কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সোনাদিয়া গভীর সমূদ্রবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। বাঁশখালীতে অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ গড়ে তোলা হবে।’
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন কক্সবাজারের একটা বদনাম আছে, এখান থেকে নাকি ইয়াবা পাচার হয়। ইয়াবা পাচার বন্ধ করুন। যারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা দেশের জন্য অভিশাপ। তিনি বলেন, মাদক মানুষকে ধংস করে। সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। মাদকদ্রব্য থেকে সন্তানদের দূরে রাখার বিষয়ে মা-বাবাকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে রুঁখে দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন জাতি ভিক্ষা করতে পারেনা। আমরা ভিক্ষুকমুক্ত জাতি গড়তে চাই। বঙ্গবন্ধু সে লক্ষ্যেই কাজ করেছিলেন। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন বান্তবায়ন আমাদের করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের দল। মানুষের ভগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের হসসয়ে কোন মানুষ নিঃস্ব থাকবে না। গৃহহারা হবেনা কেউ। আমরা প্রতিটি মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। নিঃস্ব মানুষদের মাথাগুজার ঠাঁই করতে ‘গুচ্ছগ্রাম’ তৈরী করছি। আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্য খোলে যায়। আওয়ামী লীগের মেগা উন্নয়ন কর্মে দেশ এগিয়ে যায়। শুন্য অবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিলেও আজকে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ন। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারসহ বিগত সময়ের সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বিএনপি লুটের সরকার। খুনের সরকার। তাদের সময়ে খুন-গুম ছাড়া কোন উন্নয়ন হয়নি। মানুষের জন্য তারা কোন কাজই করেনি। তারা আজ প্রত্যাখাত।
একাধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি দেশের উন্নয়ন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দুর্দিনেও নাই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। উপহার এনেছি। যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখানে পর্যটক আসে, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করলো। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।’ বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই এয়ারপোর্টটি (বিমানবন্দর) জরাজীর্ণ ছিল, ৯৬ সালে সরকারে এসে এটিকে উন্নত করে যাই। এই বিমানবন্দরকে উন্নত করার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।’
বিমানবন্দরটি যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে জন্য রানওয়ে প্রশস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কক্সবাজারবাসী অবহেলিত ছিল আমি জানি। যখনই কোনও দুর্যোগ দেখা দিয়েছে আমরা এসেছি, আপনাদের সেবা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে? এরপর আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে এসেছিলোম। আসার পথে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তা ভাঙা ছিলে। এরইমধ্যে এসে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে রিলিফ ওয়ার্ক করেছি। তখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কেউ আসেনি। যখন কুতুবদিয়াতে নামি লাশের পর লাশ পড়ে ছিল। নেভির লোক কোনোভাবে লাশ দাফন করেছিল। সেইদিনই সেনাবাহিনীর একটি দল এসেছিল। প্রত্যেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের লাশ, শিশুর লাশ আমি নিজে দেখেছি। সাপ গরুর লাশ, ছোট্ট শিশুর লাশ ভেসে ভেসে আসছে। সেই বিভৎস দৃশ্য। যতটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করে, তারা জনগণের কথা ভাবে না। তারা ক্ষমতা ভোগ করে আর কিছু এলিটকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমি শাসক না জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালন করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইদিনে মেজ ফুফুর বাড়ি সেজ ফুফুর বাড়িতে আক্রমণ করে তার স্বামী ছেলেকে হত্যা করেছে, আমার ছোট ফুফুর বাড়িতেও আক্রমণ করে ফুফাকে না পেয়ে ফুফুকে গৃহবন্দি করেছে। এভাবে হত্যাযজ্ঞ চলেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধানমন্ত্রীর আগে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ,কক্সবাজারের সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসতাক আহমদ চৌধুরী ও কুতুবদিয়া –মহেষখালীর এম পি আশেক উল্লাহ রফিক।

এর আগে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন।
কক্সবাজারকে সুন্দর করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আমার বাবা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী শহর কক্সবাজারকে নিয়ে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, তার মধ্যে এ স্বপ্ন সৃষ্টি করেছিলেন তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬২ এবং ১৯৬৪ সালে বাবা- মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে এসেছিলাম। তখন আমার বাবা সৌর্ন্দযময় এ সমুদ্র সৈকতকে নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা বলতেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তবে এরপরও সমুদ্র সৈকতকে আরও বেশি আর্কষণীয় করতে আমার ভেতরে স্বপ্ন তৈরি হয়। এ স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।’
কক্সবাজারকে একটি অবহেলিত এলাকা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিলাম। তখন দেখেছি এই এলাকার জীবনমান কত খারাপ। যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার বালুকাময় সৈকত এখানে। এর সৌর্ন্দয আরও আকর্ষণীয় করতে যা যা করার দরকার তাই করা হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রেজুখাল ব্রিজ নির্মাণে ও সৈকতের কলাতলী থেকে দুই কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কেবল পর্যটনের বিকাশ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনমানের ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হবে।’
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপভোগ করেনকক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপভোগ করেন
সড়কটি নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় ধসে নিহত ছয় সেনা সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবদেনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছান। পরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী আসেন। সেখানেই ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টের ফলক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে এই সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী মোশারফ হোসেন, পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ-বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন মোহাম্মদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরারসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে বোয়িং বিমান চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমান ‘মেঘদূত’ এ করে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিমান চলাচলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানের চলাচল শুরু হল।
এ গুলো ছাড়া ও জনসভায় তিনি কক্সবাজারে আরও ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৮ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্র্রন্তর স্থাপন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.