ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস

0

সিটিনিউজবিডি ডেস্ক : ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ ১৬ মে । ১৯৭৫ সালের এই দিনে পদ্মা নদীর ওপর ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০ মিটার প্রস্তের বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। যার ১২৩টি পিলার ও ১২১টি দরজা রয়েছে।

ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণ করে ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ অংশে পদ্মা নদী এখন মৃত প্রায়। নদীর নব্যতা হারানোয় বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। মহানন্দা, পাগলাসহ আশপাশের কয়েকটি নদী এখন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।

পদ্মা নদীর ওপর ভারতের এ বাঁধ তৈরি দেশের উত্তরাঞ্চলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়, উত্তরাঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যকে হরণ করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন-জীবিকার শ্রেষ্ঠ উপকরণ পানি ব্যবহারের ন্যায্য অধিকার।

১৯৭৬ সালের ১৬ মে মরহুম মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক কানসাট রাজবাড়ী মাঠে এক জনসভায় বলেছিলেন, ফারাক্কা বাঁধ আমাদের জন্য মরণ ফাঁদ।
ভারতের বাঁধ তৈরির কারণে শুকনো মৌসুমে পদ্মার মহানন্দায় পায়ে হেঁটে চলাচল করে মানুষ।

তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধন করেন। এর কারণে এপারের মানুষের দুঃখ দিন দিন বাড়ছেই। পদ্মার ভাঙনে শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা, দুর্লভপুর, পাঁকা, উজিরপুর, সুন্দরপুর, চরবাগডাঙ্গা, আলাতুলিসহ বেশির ভাগ এলাকা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।

গেলো ৪২ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক নদী ভাঙন চলছে। পানিশূন্য হয়েছে এক সময়ের ভয়াল পদ্মা। ফলে জেলার অনেক অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে ব্যহত হচ্ছে কৃষি কাজ। এক সময় যে পদ্মায় জেলেরা রুপালী ইলিশ ধরত আজ সেই নদী মরা চর।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.