ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুনর্গঠনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুনর্গঠনে ঐতিহাসিক ডাক দিলেন ফ্রান্সের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপকে আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন এ দুই নেতা। প্রয়োজনে জার্মানির পক্ষ থেকে ইইউ’র নীতিমালা পরিবর্তনেরও ঘোষণা দেন মার্কেল।

শপথ গ্রহণের পরদিনই জার্মানি সফরে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। বার্লিনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। ম্যাক্রোঁ-মার্কেল বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শক্তিশালী করা ছাড়াও ফ্রাঙ্কো-জার্মান সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানায় গণমাধ্যম।

ম্যাক্রোঁর বার্লিন সফরে যেনো প্রাণ ফিরে পেলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রেক্সিট ইস্যুসহ নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত ইইউ’কে শুধু পুনর্গঠনেরই ঘোষণা দেননি ম্যাক্রোঁ। ইইউকে পূনর্জীবিত করাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ইইউ’কে পুনর্গঠন পপুলিজমের বিরুদ্ধে প্রথম চপেটাঘাত বলেও মন্তব্য করে ফ্রান্সের ৩৯ বছর বয়সী এ প্রসিডেন্ট।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউরোপকে রক্ষায় আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতা কমাতে হবে। পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা খুবই জরুরি। কিছু অঞ্চলকে নির্দিষ্ট করে বিভিন্ন মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং বিশ্ববাণিজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং শ্রেষ্ঠ ইউরোপ গঠনে আমাদের আরও বাস্তবিক হতে হবে।’

ফ্রান্স-জার্মানের সম্পর্ক এবং সম্প্রীতির কথা তুলে জনগণের স্বার্থে যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত বলে জানান অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। ইইউকে পুনগর্ঠনে একই পরিকল্পনার পাশাপাশি জার্মানির পক্ষ থেকে ইইউ চুক্তি পরিবর্তনের কথাও জানান তিনি। আঙ্গেলা মার্কেল বলেন, ‘জার্মানির দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শক্তিশালী করতে সম্ভব হলে ইইউ চুক্তির পরিবর্তন করা হবে। তবে তা শুধুই বেক্সিটের কারণে নয়। সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী ইউরোপ গড়ে তুলতেই এটা সম্ভব। তবে এর আগে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিবর্তনের বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে।’

এদিকে, ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংস্কারপন্থী রিপাবলিকান দলের এদোয়ার্দো ফিলিপকে নিয়োগ দিয়েছেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালেক্সিস কোহলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিলিপের নাম ঘোষণা করেন। এরপরই গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে শ্রম নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন ফিলিপ।

৪৬ বছর বয়সী এই আইনপ্রণেতা বন্দর নগরী লা হাভরের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামনের মাসে হতে যাওয়া পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে ফিলিপের অভিজ্ঞতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.