নিজস্ব প্রতিবেদক::আসন্ন জাতীয় বাজেটে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, ভূরাজনৈতিক গুরুত্বকে বিবেচনায় রেখে জাতীয় স্বার্থে চট্টগ্রামকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। বিমাতাসূলভ আচরণ ত্যাগ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরীতে রূপান্তর করা সময়ের দাবী।
মঙ্গলবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএমসিসিআই) এর কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ং ইকনোমিস্ট সোসাইটি (ইয়েস) ও পূর্বাশার আলোর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেটে চট্টগ্রামঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বক্তারা বলেন, আসন্ন বাজেটে বিভিন্ন খাতে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। বিশেষত চট্টগ্রামের স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় প্রণোদনা, জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম নগর গড়তে অর্থসংস্থান ও পরিকল্পিত উন্নয়ন সাধন করতে হবে। বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক ব্লু ইকনোমির সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে প্রস্তুতি গ্রহণের বিকল্প নেই। কর্ণফুলি, হালদা নদী ও চাক্তাই খাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ সুরক্ষায় এগিয়ে আসা উচিৎ।
এছাড়াও বক্তারা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, দক্ষ জনসম্পদ তৈরী, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে অর্থনীতির গতিকে তরান্বিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষা ও উন্নতির মাধ্যমে প্রকৃত পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত করতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় সমৃদ্ধি প্রসারিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বৈশ্বিকভাবে আকর্ষণীয় করে যোগাযোগ সহজায়িত করতে হবে। রাস্তা-ঘাট সংস্কার ও প্রশস্ত করা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম নগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে টেকসই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন সাধন করতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় বাজেটে যথার্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। নৌ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক করার বিকল্প নেই। রাজধানীকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ববাণিজ্যের সংযোগস্থল চট্টগ্রামের উন্নয়নকে আঞ্চলিক উন্নয়ন হিসেবে না দেখে জাতীয় স্বার্থে গুরুত্ব দেয়া।
সিএমসিসিআই’র সহ-সভাপতি ও বিজিএমইএ’র পরিচালক এ এম মাহবুব চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও উন্নয়নকর্মী নোমান উল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর কমান্ডেন্ট নৌ প্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন, রিহ্যাব-চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জুলকরনাইন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী, এফবিসিসিআই সদস্য মাহবুবু রানা, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মুহাম্মদ মহসিন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহছান হাবীব, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের পরিচালক রোটারিয়ান আসিফ আহমেদ মৃধা, সমাজকর্মী শফিকুল ইসলাম রাহী, উদ্যোক্তা রওশন আরা চৌধুরী, তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা মনজুরুল হক, পূর্বাশার আলোর উপদেষ্টা জহুরুল ইসলাম, সিএমসিসিআই সেক্রেটারি এম সলিমুল্লাহ, বিজয়’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আর.কে রুবেল, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সদস্য মুসা বাদশা, কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয়ানন্দ বড়–য়া, ইয়েসের সাবেক সভাপতি রাশেদুল আলম, ওমর সুলতান ফাউন্ডেশনের পরিচালক নজরুল ইসলাম, মাসুদ জাকারিয়া, ইরফানা ইফাত, আতিকুর রহমান আতিক, ইপসার কর্মকতা শহীদুল ইসলাম, ইকো ফ্রেন্ডস্ এর সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুমুর রশিদ বাবু, আবু নোমান রানা প্রমুখ।