লাইফস্টাইল : পরিবেশ দূষণের প্রভাবে শুধু শরীর অসুস্থ হয়। শরীরের পাশপাশি ত্বকের উপরও এর বিরূপ প্রভাব পরে। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে একাধিক ত্বকের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন- ত্বকের বয়স বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে স্কিন অ্যালার্জি এমনকী স্কিন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে কিছু কথা-
ভাল করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে : ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা দূষিত উপাদানের স্থরকে সরিয়ে ফেলতে দিনের শেষে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
স্কার্ব ব্যবহার জরুরি : প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করেন নিশ্চয়। সে সময় ভাল করে স্কার্বার দিয়ে গা এবং মুখ পরিষ্কার করবেন। এমনটা করলে দূষিত কেমিকেল, অতিরিক্ত তেল এবং টক্সিক উপাদান সব ধুয়ে যাবে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে : যখন আপনি এই বিষ বাষ্পের মধ্যে সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিদিন সবুজ শাক-সবজি এবং ফল বেশ করে খেতে হবে।
ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার জরুরি : পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে ময়েশ্চারাইজারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই বিশেষ ধরনের ক্রিমটি ত্বকের উপরিঅংশে একটা ঢাল তৈরি করে দেয়। ফলে ক্ষতিকর উপাদানেরা সেই ঢাল ভেদ করে আর ত্বক অব্দি পৌঁচাতে পারে না। সেই সঙ্গে ত্বককে আদ্র এবং তুলতুলে রাখতেও ময়েসচারাইজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রসঙ্গত, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে নানা ধরনের ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া জরুরি
ত্বককে যত আদ্র রাখবেন, তত পরিবেশ দূষণের প্রভাব কমবে। সেই সঙ্গে স্কিন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই তো দিনে কম করে ৩-৪ লিটার পানি খাওয়া জরুরি!