আবার ও টেস্ট ক্রিকেট ড্র বাংলাদেশের

0

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। এখানে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। তবে অনুমান করা যায়। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের ফল কী হতে পারে? সেক্ষেত্রে অধিকাংশের অনুমানই ড্রয়ের পক্ষে যাবে। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা হয় মাত্র ১২.১ ওভার। চতুর্থ দিনে বৃষ্টির কারণে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। হাতে আছে আর একটি দিন। এদিনও রয়েছে মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই চট্টগ্রাম টেস্ট যে ড্র হচ্ছে সেটা এখন আর কেবল অনুমানের বিষয় নয়, অনুমিতও বটে।

শেষ পর্যন্ত এই টেস্টটি ড্র হলে সেটা হবে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের অষ্টম ড্র। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম।

এর আগে গেল মাসে বৃষ্টির কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টটি ড্র হয়। তার আগে ২০০৭ সালে বৃষ্টির কারণে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টও ড্র করে বাংলাদেশ। একই কীর্তি রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। বৃষ্টির কারণে কিউইদের বিপক্ষেও দুটি টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি টেস্টের আগে বাংলাদেশ মোট ৯১টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে জিতেছে ৭টিতে। ড্র করেছে ১৩টিতে। এই ১৩টি ড্রয়ের মধ্যে ৬টি ম্যাচ বাংলাদেশ পুরো পাঁচদিন খেলে ড্র করেছে। বাকী ৭টি? বাকি ৭টি ম্যাচ বাংলাদেশ বৃষ্টির কারণে ড্র করেছে। আর এই ৭টি ম্যাচের ৬টিই ড্র হয়েছে ঘরের মাঠে।

২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে দুইদিন খেলা মাঠে গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত টেস্টটি ড্র হয়। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশ। সেখানেও বৃষ্টির কারণে ৩ দিনই খেলা বন্ধ ছিল।

২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে একদিন খেলা বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত টেস্টটি ড্র হয়। ২০০৮ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। বৃষ্টির কারণে এই টেস্টের দিনটি দিন ভেসে যায়। এরপর ম্যাচের ভাগ্যে ড্র জুটেছিল।

২০১১ সালের ঘটনা। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এই টেস্টটিও ড্র হয়। কারণ, বৃষ্টিতে দুটি দিন ভেসে যায়। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে টেস্ট ম্যাচ ড্র করেছিল টাইগাররা।

সবশেষ ১৪ জুন ভারতের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন ৫৬ ওভার খেলা হয়। দ্বিতীয় দিন মাঠেই নামতে পারেনি খেলোয়াড়রা। তৃতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ৪৬.৩ ওভার। চতুর্থ দিনে হয় ৩০.১ ওভার। আর শেষ দিনে খেলা শুরু হয় মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর। পাঁচদিনে ৪৫০ ওভার খেলা হওয়ার কথা থাকলেও খেলা হয়েছে মাত্র ১৮৪.২ ওভার। ২৬৫.৪ ওভার খেলা বৃষ্টির পেটে যায়।

১৮৪.২ ওভারের ১০৩.৩ ওভার খেলে ভারত। রান করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৬২। বাংলাদেশ বাকি ৮০.৫ ওভার খেলার সুযোগ পায়। তাতে প্রথম ইনিংসে ৬৫.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তুলে ফলোঅনে পরে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভাওে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৩ রান তোলে। শেষ পর্যন্ত বেরসিক বৃষ্টির কারণে ফতুল্লা টেস্ট ড্র হয়।

আসলে সবশেষ বলা যাবে না। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সবশেষ শব্দটি বড়ই বেমানান। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের মাথাও যে ইতিমধ্যে ড্রয়ের দিকে ঝুঁকে গেছে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.