ট্রাম্পের ইচ্ছায় কাতার ‘একঘরে’

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপেই সৌদি আরবসহ মুসলিম প্রধান সাত দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। ট্রাম্প বলেন, ‘জঙ্গি কার্যকলাপে মদতদাতা কাতারের একঘরে হওয়া সন্ত্রাসের শেষের শুরু।’

মাত্র একদিন আগেই সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেন, লিবিয়া ও মালদ্বীপ। সৌদি আরবসহ এই সাত দেশ কাতারের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগও বন্ধ করায় বিভ্রাট বেড়েছে।

কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করে ট্রাম্প বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার ‘জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে’।

মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটারে লেখেন “মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন”।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরটি ছিল খুব্ গুরুত্বপূর্ণ।

সৌদি আরবের রিয়াদ সফরের সময় ট্রাম্প তার এক ভাষণে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়।

সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেই প্রক্রিয়ায় গতি আনার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। সেখানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ ৫০টি দেশের নেতার উদ্দেশে বক্তৃতা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

কূটনীতিকরা মনে করছেন, কাতার ইরানের প্রতি সুর নরম করার ফলেই একঘরে হয়েছে। টুইটারে ট্রাম্প বলেন, ‘পশ্চিম এশিয়া সফরের ফল এখনই ফলতে শুরু করেছদেখে ভাল লাগছে। সৌদি আরবসহ ৫০টি দেশ জানিয়েছিল, তারা সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে। ওই আর্থিক মদতের উৎস যে কাতার, তা নিয়ে স্পষ্ট তথ্য আছে।’

এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, “সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা”।

অপরদিকে আরব বিশ্বের এই সঙ্কট কাটাতে সক্রিয় হয়েছে তুরস্ক, কুয়েতের মতো কয়েকটি দেশ। গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, আরব দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ কাটাতে প্রয়োজনে সাহায্য করতে তৈরি যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.