সিটিনিউজবিডি : সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বয়সসীমা ২৯ বছর রাখার কথা বলেছেন তিনি। আজ শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন সংগঠনটির সাংগঠনিক প্রধান শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আজ উদ্বোধন হয়েছে। ২৮তম এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান। সম্মেলনে ইতিমধ্যে শোকপ্রস্তাব ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি আজ গণসংগীত ও বক্তৃতা পর্ব চলে। কাউন্সিল অধিবেশন হবে কাল রবিবার। সেখানেই শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে ভোটের মাধ্যমে। কাউন্সিলররা সরাসরি ভোট দিয়ে তাঁদের নেতা নির্বাচন করবেন। গণতান্ত্রিক ধারা ছাত্রলীগে অব্যাহত থাকবে। মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্ররা যাতে নেতা নির্বাচিত হতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র- শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির আদর্শ নিয়ে সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে ছাত্রলীগ বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। রক্ত দিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়ালেখায় মনোযোগী হতে উপদেশ দেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগে আজকে যাঁরা নেতৃত্বে, তাঁরাই দেশের চালিকাশক্তি হবেন। ছাত্রলীগের সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনের শীর্ষ দুই পদের জন্য মোট ২৪২ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এখন বৈধ সভাপতি প্রার্থী ৬৪ জন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৪২ জন রয়েছেন
এ বিভাগের আরও খবর