ভারী বর্ষণে মাতামুহুরীর পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে

0

বশির আল মামুন,চকরিয়া::চকরিয়ায় দুইদিনের টানা ভারী বর্ষণে আবারো উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদীতে ।এ অবস্থার কারনে চকরিয়া পৌর এলাকা সহ উপজেলার বেশির ভাগ নিমাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার বিকালে মাতামহুরী নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে উপজেলার হাজারো পরিবার গতকাল দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, গত দুইদিন ধরে চকরিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ অবস্থার কারনে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমেছে পাহাড়ি ঢলের পানি। ফলে নদীর পানি আর বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে পৌরসভার একাধিক নিমাঞ্চল। মেয়র বলেন, গতকাল দুপুর থেকে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর বাঁধ এলাকা অতিক্রম করে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে নদীর পানি। স্থানীয় মজিদিয়া মাদরাসাসহ আশপাশ এলাকার অন্তত শতাধিক পরিবারের বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ার কারনে লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ভারী বর্ষণের কারনে মাতামুহুরী নদীতে বেড়ে চলছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। ইতোমধ্যে নদীর পানি ঢুকে তাঁর ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতঘর প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতে মাতামুহুরী নদীতে গতকাল সকাল থেকে পানি প্রবাহ বেড়েছে। এ অবস্থার কারনে নদীর শাখা খাল হয়ে তাঁর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, ডেইঙ্গাকাটা, রসুলাবাদসহ একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। এলাকার দুর্গত জনসাধারণ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে পড়ার কারনে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে মাতামুহুরী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী নীচু এলাকার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। এ অবস্থার কারনে দুই ইউনিয়নের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢলের প্রবাহ বেড়েছে। এ অবস্থার কারনে উপজেলার চিংড়িজোনের শত শত চিংড়ি প্রকল্প পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে চিংড়ি প্রকল্প তলিয়ে গেলে মাছ ভেসে গিয়ে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে চিংড়িজোনের হাজারো চাষী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.