আইটি সেক্টরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ভিয়েতনাম

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::বাংলাদেশ-ভিয়েটনাম  বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যে উভয় দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান খোয়া। এক্ষেত্রে সদ্য গঠিত বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যৌথ চেম্বার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনীতির সাফল্য ও বাণিজ্যিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির ফলে বিপুল ভিয়েতনামী বিনিয়োগকারী বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে যৌথ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন বলে জানান।

বুধবার (৫ জুলাই)  দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ সৈয়দ জামাল আহমেদ’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি এস. এম. রহমান, চিটাগাং চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ জাহেদুল হক, সদ্য বিদায়ী পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী ত্রান ব্য সন বক্তব্য রাখেন।

এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ হাবিবুল হক, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এম. এ. মোতালেব, সরওয়ার হাসান জামিল, হাসনাত মোঃ আবু ওবাইদা, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, রাষ্ট্রদূত’র সহধর্মিনী ফাম থাই মিন দিপ ও কনস্যুলার সেকশনের এ্যাটাচে চার্জ লা মাই ফুং উপস্থিত ছিলেন

চেম্বার প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ সৈয়দ জামাল আহমেদ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করণের উপর গুরুত্বারোপ করে ভিয়েতনামের নিয়মিত আমদানিকৃত পণ্য যেমনঃ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরী পোশাক, কৃষিজাত পণ্য ও ঔষধের পাশাপাশি নন-ট্রেডিশনাল পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা সম্ভব বলে মনে করেন।

ভিয়েতনামে ব্যবসা করতে আগ্রহী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সে দেশে ভ্রমণে ভিসা ব্যবস্থাকে সহজীকরণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। চেম্বার প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ চট্টগ্রামে মিরসরাই ও আনোয়ারায় নির্মাণাধীন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে একক অথবা যৌথভাবে বিনিয়োগের জন্য ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগ কামনা করেন যা উভয়দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিভিসিসিআই সভাপতি এস. এম. রহমান বলেন-ভিয়েতনামে গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন খাত বিশেষ করে ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশী বিনিয়োগাকারীদের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সী ফুড রপ্তানিও বিশেষ সম্ভাবনাময় খাত বলে তিনি উল্লেখ করেন। চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আক্তার হোসেন চট্টগ্রামের সাথে ভিয়েতনামের সরাসরি বিমান ও সমুদ্র পথে যোগাযোগ স্থাপনের অনুরোধ জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.