দিলীপ তালূকদার:: দুবাই প্রবাসী শেখ আলম গুরুতর অসুস্থাবস্থায় দুবাই এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ বিমানের দুই কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতার কারনে দেশে ফিরতে পারলো না। গতকাল রাতে বিমানের ০৪৮ নং ফ্লাইটে তার দেশে আসার কথা ছিল।
জানাগেছে, দুবাই এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ বিমানে কর্মরত খলিল ও মঞ্জু নামে দুই জন কর্মচারীর অসহযোগীতার কারনে বোর্ডিং পাশ হওয়ার পরও ফিরে যেতে হল শেখ আলমকে। দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সার্টিফিকেট অনুযায়ী রোগীর সাথে হুইল চেয়ার ছিল। হুইল চেয়ারের জন্য অতিরিক্ত ফি ও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বোর্ডিং পাসের সময় হুইল চেয়ারের পেপার ঠিকমত এন্ট্রি করা হয়নি। যার কারণে হুইল চেয়ারের পেপার ইমিগ্রেশনে শো করছিল না। সে কারনে বিমান কর্মকর্তাদের সহযোগীতা চাওয়া হলে তারা সহযোগীতার বদলে অসহযোগীতা করেন। তারা আর কিছু করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তারা শুধু শেখ আলমের বেলায় নয় উপস্থিত আরো যাত্রীদের সাথে সমান তালে দূর্ব্যবহার করে আছিলো অভিযোগে প্রকাশ।
শেখ আলম কয়েক যুুগ ধরে আমিরাত প্রবাসী। এক সময় ভালো ব্যাবসা করলেও বর্তমানে ব্যাবসা হারিয়ে নিঃস্ব। তিনি দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ও দুবাই আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ব্রেইন ষ্ট্রোক করার পর দীর্ঘদিন ধরে টিভি রোগে ভূগছেন। দীর্ঘদিন ধরে দুবাই রাশিদিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলে দুবাই কন্স্যুলেট হাসপাতাল, ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে আউপ পাশের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা বাংলাদেশ বিমানের ঐ দু কর্মচারীকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবী জানান। তারা বিমান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।