আমরা সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী : প্রধানমন্ত্রী

0

সিটিনিউজবিডি ডেস্ক :   আমরা সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন চেয়েছি। জনগণ তাদের ইচ্ছায় ভোট দেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান কিন্তু আমরাই শুরু করেছি।

শনিবার(৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করল, মানুষ মারল, গণহত্যা করল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তারাই ক্ষমতায় এলো। বেঈমান খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতায় বসাল। কিন্তু বেশিদিন রাখল না। তাকেও সরিয়ে দিল যারা বেঈমানি করিয়েছে তারাই।’

তিনি আরও বলেন, এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলেন। তার ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে অপশক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে। দেশ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে। দুর্নীতি-লুটতরাজ শুরু হয়। অন্য স্বৈরশাসকদের মতো তিনিও এলিট শ্রেণি তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেন। আইয়ুব খানও এমনই করেছিলেন। এভাবে ২১ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল।

তিনি বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন শুরু করি। জনগণের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করি। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। সে কাজের সুফল মানুষ এখন পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন খাদ্যের অভাবে হাহাকার নেই। একসময় মঙ্গাপীড়িত এলাকায় মঙ্গা নেই, দুর্ভিক্ষ নেই। মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। বেকারত্বের হার কমে গেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাগুরা নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের বিএনপির একক নির্বাচন জনগণ দেখেছে। ষড়যন্ত্র করে ২০০১ এর নির্বাচনেও আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়। তারপর আবার দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়। আমরা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে এ দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করি।’

হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছে সেটা আর্কাইভে রাখা দরকার। সবার জানা দরকার। তারা কারাগারে ঢুকেও আমাদের নেতাকর্মী মেরেছে। আমরা অতীত ভুলে যাই, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.