দলীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কান্নাকাটি করছে বিএনপি : হাছান

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাঁদতে দেখা যায়। কিন্তু গ্রেনেড হামলা ও পেট্রলবোমা হামলায় হতাহতদের জন্য তাকে কাঁদতে দেখিনি।’

বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি এবং নতুন প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রজন্ম লীগ।

সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে দলীয় এক কর্মসূচিতে নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানেও আবেগাপ্লুত বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্না থামাতে পারেননি।

এর আগে মির্জা ফখরুলের এই কান্নার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখ শুকিয়ে গেছে, এখন আর কান্না আসে না।

মির্জা ফখরুলের কান্নার সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রায়ই তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কান্না করতে দেখা যায়। তাঁর এটা কান্না না মায়াকান্না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। কেননা যিনি মানুষের কষ্ট দেখে ব্যথিত হন তিনি সব মানুষের কষ্ট দেখেই ব্যথিত হন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা গ্রেনেড হামলা ও পেট্রলবোমা হামলায় হতাহত হয়েছিলেন তাদের জন্য তো আপনাদের কখনো কাঁদতে দেখিনি। আর এখন দলীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কান্নাকাটি করছেন।’

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি এবাদুল হক, সহ সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন শফি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শরীফ আহম্মেদ ও মো. কামরুল হাসান।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সে সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’

কামরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে কামরুল বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো গণতান্ত্রিক দলের সংলাপ হতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গেও বিএনপির কোনো সংলাপ হবে না।’

বিএনপি আন্দোলন করার মতো কোনো ক্ষমতা নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আর সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.