বিশ্বজিৎ হত্যা : আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ৬ আগস্ট

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের দিন পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাজা বহাল থাকবে কি না তা জানা যাবে আগামী ৬ আগস্ট।

এই হত্যার দায়ে বিচারিক আদালত ২১ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে নানা মেয়াদে সাজা দিয়েছিল। এর মধ্যে আট জনকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।

আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টে অনুমোদন করাতে হয়। এই ডেথ রেফারেন্স শুনানি ও আসামিপক্ষের আপিল শুনানি চলে একই সঙ্গে। আর এই শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রায়ের এই দিন ঠিক করে।

হাই কোর্টে আসামিপক্ষে শুনানি করেন মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

বেসরকারি টেভিলিশনের ক্যামেরায় এই ঘটনা ধরা পড়লে দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়। ছাত্রলীগের এই কাণ্ডের জন্য সরকারেরও তীব্র সমালোচনা হয়। তবে সরকার এর সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেয়।

আর পরের বছর ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক আট ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা, রাজন তালুকদার ও মীর নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন গোলাম মোস্তফা, এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের মধ্যে রাজন ও লিমন এবং যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ১১ জনই পলাতক।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.