সাংবাদিক এম.ওবায়দুল হক ছিলেন সাহসী এবং সাদামনের মানুষ

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ :   চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠতা, বর্ষীয়ান সাংবাদিক মরহুম এম. ওবায়দুল হক আমৃত্যু ছিলেন একজন সৎ, সাহসী এবং সাদা মনের মানুষ। পেশার মর্যদা রক্ষায় তিনি আমৃত্যু ছিলেন অবিচল। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তিনি কখনো পিচ পা হননি। সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাবের উন্নয়নে তিনি আমৃত্যু কাজ করেছেন। কাজ করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির উন্নয়নে।

মরহুম সাংবাদিক এম.ওবায়দুল হক স্মরণে চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। শেরশাহস্থ সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদে শুক্রবার(২১ জুলাই) বাদ জুমা আয়োজিত এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম আশরাফী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সেক্রেটারী হাসান ফেরদৌস, কোষাধক্ষ্য নুর উদ্দিন আহমেদ, ডাইরেক্টর মহসিন কাজী, সোসাইটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক, শাহরিয়ার হাসান, আহসানুল হক রিটন, গোলাম নবী। সোসাইটির বাসিন্দাদের মধ্যে মাঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আলহাজ্ব মো: শহিদুল্লাহ, আবুল হাসেম চেয়ারম্যান, সরওয়ারুল কবির চৌধুরী প্রমুখ

বক্তারা বলেন, এম ওবায়দুল হক দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীতে রিপোর্টিং বিভাগে কাজ করেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে ওবায়দুল হক সাংবাদিক সমাজের নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি সঙ্গীত নাটক ও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহচর্যেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

মরহুম এম. ওবায়দুল হকের আদর্শ কে ধারণ করে সাংবাদিকদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান আলোচকরা। পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। এর পর মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.