চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক : সদস্যপদ সংক্রান্ত চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জজ আদালতে বিচারধীন মামলা খারিজ হওয়ার সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব উল আলম,

সেক্রেটারী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান এম.নাসিরুল হক, যগ্ম সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, কোষাধক্ষ্য শহীদ উল আলমের সদস্যপদ বাতিল করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড।

আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে সোমবার অনুষ্ঠিত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা সমবায় কার্যালয় ২০০৪ সালের ০৯ ডিসেম্বর এক আদেশে সমবায় আইন ২০০১, সমবায় বিধি ২০০৪ এবং সমিতির উপ আইনে উপরোক্ত ৫জনকে ’দেনাদার’ হিসাবে আখ্যায়িত করে।

এরপর তৎকালীন ব্যবস্থপনা কমিটি অভিযুক্তদের সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করলে অভিযুক্তরা জেলা সমবায় আদালতে ডিসপিউট মামলা দায়ের করেন।

এ প্রেক্ষিতে সমবায় আদালত ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারী সমবায় আইনের ৩৭ ধারায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে দেনাদার হিসাবে চিহিৃত করে তাদের সদস্যের অধিকার প্রয়োগ এখতেয়ার বহির্ভুত হিসাবে ঘোষনা দেন।

এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় সমবায় অফিসে অপীল করে ডিসপিউট মামলা দায়ের করলে ওই আদালতও তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

এরপর অভিযুক্তরা দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে মিছ মামলা দায়ের করলে দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মিছ মামলাটি খারিজ করে দেন।

আদালতের রায় পাওয়ার পরপরই সোমবার অনষ্ঠিত চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সমবায় আইন ২০০১, সমবায় বিধি ২০০৪ এবং সমিতির উপ বিধি অনুযায়ী

সমিতির স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান, সেক্রেটারী, কোষাধ্যক্ষসহ ৫জনের সদস্যপদ বাতিল করে।

জেলা সমবায় কার্যালয়ের ২০০৪ সালের ০৯ ডিসেম্বর সমবায় আইনের ৮৩(২) ধারায় প্রদত্ত আদেশ বলা হয়েছে,

”সমবায় আইন, বিধি এবং উপ বিধির শর্ত ইচ্ছাকৃতভাবে ভঙ্গ করে সমিতিকে ক্ষতিগ্রস্থ ও সাধারণ সদস্যগণের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে, ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যহার ও এখতেয়ার বহির্ভুতভাবে বিগত ২৩/১১/৯৫ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বর্ণিত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায়

উপস্থিত পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজনের নিম্মোক্ত অসদস্য স্ত্রী যথা-(ক) মিসেস তপতী দাশ, স্বামী-নির্মল দাশ, মিসেস তসলিমা খানম, স্বামী-শহীদ উল আলম, মিসেস হোসনে আরা, স্বামী-নিজাম উদ্দিন আহমদগণকে

সমিতির অনুমোদিত লে-আউট প্ল্যানে কবরস্থান হিসাবে চিহিৃত ও সংরক্ষিত তিনটি প্লট কথিত বরাদ্দ অবৈধ ঘোষনা পূর্বক বাতিল করা হল।

বর্ণিত প্লট গ্রহীতাগণ প্লটসমুহ অত্র আদেশ প্রাপ্তির ৩০দিনের মধ্যে নিজ খরচে সমিতিকে ফেরত প্রদান নিশ্চিত করবেন।”

এই আদেশের বিরুদ্ধে মাহবুব উল আলম বাদী হয়ে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করে ২০০৫ সালে।

বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার রীট পিটিশনটি খারিজ করে দেন।

এদিকে হাইকোর্টে অভিযুক্তদের দায়ের করা রীট পিটিশন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সমবায় আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে স্ত্রীর নামে নেয়া তিন প্লট সমিতির নিয়ন্ত্রনে নেয়ার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. সোমবারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ১৯৯৯ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভার ১২নং প্রস্তাবে বলা হয়,

’ চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এর ৩জন তৎকালীন কর্মকর্তা বেআইনী ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ১১০,১১১,১১২ নং প্লট হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্ত করে উল্লেখিত প্লটসমুহ পুনরুদ্ধার এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হয়।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি আতাউল হাকিম এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহিত এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়।

এ প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে নেয়া তিন প্লটের বিষয়ে তদন্ত করে জেলা সমবায় অফিস। তদন্ত করে ২০০৪ সালের ০৯ ডিসেম্বর রায় ঘোষনা করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.