রাউজানে ব্রিজের অংশ ভেঙ্গে ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

0

এম বেলাল উদ্দিন,রাউজান (চট্টগ্রাম)::চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপুর্ণ মুহাম্মদ শাহ সড়কটির ছোবহান দফাদারের হাটের ব্রিজটির গোড়ার উভয় অংশ খালে বিলীন হয়ে পড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে গেছে এ সড়কে গাড়ী চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ১১ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। এখন এসব গ্রামের মানুষজন পায়ে হেটেই চলছে প্রায় ৫ কিলোমিটারের এই সড়ক পথ। ভোগান্তির মধ্যে আছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ গ্রামের লোকজন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন অংশের কাপ্তাই সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ৫ কিলোমিটারের মুহাম্মদ শাহ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে কমলারদিঘী, সাদার পাড়া, সামমাহালদার পাড়া, মোকামী পাড়া, ছামিদর কোয়াং, উত্তর কচুখাইন, খন্দকার পাড়া, মধ্যম পাড়া, পূর্ব কচুখাইন, পশ্চিম কচুখাইনসহ মোট ১১ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। সড়ক পথে চালু আছে অটোরিক্সা সার্ভিসসহ বিভিন্ন যানবাহন। কাপ্তাই সড়ক থেকে নেমে এই সড়কের শুরু থেকেই এমনিতে খানাখন্দকে ভরা প্রায় এক কিলোমিটার পথ। বহু কষ্টে যানচলাচল করছিল এতদিন। সড়কপথের কমলারদিঘী থেকে নেমে সামনে এগুলেই পুকুরের মত শত শত গর্ত।

সড়কের সাদার পাড়া ও সামমাহালদার পাড়া ছোবহান দফদারের হাট ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা ক্ষতবিক্ষত। গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। তারপরও এতদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছিল গাড়ী। এ অংশে অন্তত পাঁচশত গর্তে আটকে যায় গাড়ীর চাকা। স্থানীয়রা জানায় বৃষ্টি হলে সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ী চলাচল। এদিকে এ সড়কপথের ছোবহান দফাদারহাটের ব্রিজটির গোড়ার দুই দিকের দুটি অংশ গত সপ্তাহে খালে বিলীন হয়ে পড়ায় সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে গেছে গাড়ী চলাচল।

এই সড়ক দিয়ে বাচ্চাকে গাড়ীতে করে স্কুলে নিয়ে আসা কচুখাইন গ্রামের মেহেরুন্নেছা নামের এক ছাত্রীর মা বলেন, মেয়েকে স্কুলের গাড়ী করে প্রতিদিন স্কুলে পাঠায়। এখন ব্রিজের সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেয়েকে নিয়ে হেটেই দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আসছি। এতে বাচ্চা ঠিক সময়ে স্কুলে পৌছাতে কষ্ট হচ্ছে।

নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য এস.এম হাফিজুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডের এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। সড়কটির সংস্কার কাজ হয়েছে প্রায় ছয় বছর আগে। এ কারণে সড়কটি দিয়ে গাড়ী চলাচল না শুধু পায়ে হেটে চলারও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার অংশে গর্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। তিনি জানান, গত সপ্তাহের বন্যার কারণে সড়কের ছোবহান দফাদারহাটের ব্রিজটির উভয় সংযোগের গোড়ার অংশ সার্কদা খালে বিলীন হয়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ১১টি গ্রামের মানুষ পড়েছে চরম দুভোর্গে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, সড়কটির মেরামত ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ দ্রুত মেরামত করতে উপজেলা এলজিইডি অফিসে আবেদন করা হবে।

রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন গতকাল শনিবার বিকেলে বলেন, সড়কটির করুণ অবস্থা তা জানি। কিন্তু ব্রিজের অংশ ভেঙ্গে গাড়ী চলচাল বন্ধ হয়ে গেছে এই সংবাদ কেউ আমাকে দেয়নি। তিনি বলেন ক্ষতবিক্ষত সড়কটি সংস্কারে প্রস্তাবনা পাঠালেও অনুমোদন হয়নি। নতুন করে আবারো প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.