সৎ জীবন যাপনে অবিচল ছিলেন ইসহাক মিয়া

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠকর্মী হিসেবে জননেতা ইসহাক মিয়ার ত্যাগ আওয়ামীলীগে এক বিরল দৃষ্টান্ত। তাঁর হাতে অর্থ সম্পদ এর মালিক হওয়ার অবাধ সুযোগ থাকা সত্বেও সম্পদের প্রতি তার কেন মোহ ছিল না। অসীম সাহসী ও আদর্শের মূর্ত প্রতিক ইসহাক মিয়া অনুকরনীয় এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদ এবং চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা, সাবেক গণপরিষদ ও সংসদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জননেতা মরহুম মোহাম্মদ ইসহাক মিয়ার নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। মরহুম ইসহকা মিয়া আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ছিলেন নিবেদিত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এবং ভোট-ভাতের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে ইসহাক মিয়া ছিলেন অগ্রভাগে। এজন্য চট্টগ্রামবাসীসহ গোটা জাতি তাকে চিরদিন স্মরণ রাখবে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সৎ জীবন যাপনে অবিচল ত্যাগী, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত এ নেতা ছিলেন কর্মীবান্ধব। নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে কেবল দলের কর্মীদের সুখ-শান্তির কথাই চিন্তা করতেন বেশি। ইসহাক মিয়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে ছিলেন নিবেদিত।

শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন খ্যাতিমান সমাজ বিজ্ঞানী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত নাগরিক শোক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও নঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জননেতা মরহুম মো. ইসহাক মিয়ার জৈষ্ঠ পুত্র মো. রেজওয়ান, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা সাধারন সম্পাদক প্রফেসর অশোক চন্দ্র সাহা, জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন। নাগরিক শোক সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. জ্বিনবোধি ভিক্ষু, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ফজলুল হক, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী প্রমুখ।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ সংগঠক ইসহাক মিয়া সততা ও নিষ্ঠাকে জীবন চলার পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে স্মরনীয় ও বরণীয় ব্যক্তি হিসেবে চিরদিন বেঁচে থাকবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বলেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে যখনই দুঃসময় এসেছে তখন ইসহাক মিয়া বীরের বেশে আওয়ামীলীগের পতাকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি ভয়কে জয় করেছেন। শিক্ষাবিদ প্রফেসর ফজলুল হক বলেন, দুর্দিন ও দুঃসময়ে রাজনৈতিক নেতাদের রাজপথে পাওয়া যখন দুস্কর ছিল তখন ইসহাক মিয়া রাজপথকে ঠিকানা হিসেবে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তিনি মরেও অমর হয়ে থাকবে। দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক ইসহাক মিয়ার বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, তিনি কোনদিন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.