চন্দনাইশে ডা. শাহাদাত-মিজান সমর্থিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১০

0

নিজস্ব সংবাদদাতা,চন্দনাইশ,সিটিনিউজ : চন্দনাইশ পৌরসভা সদরের খাজা মার্কেটে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. মিজানুল হক চৌধুরী সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত পৌনে ৯ টায় চন্দনাইশ পৌরসভা সদরস্থ খাজা মার্কেটের গলিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগর সহ ৮/১০ জন নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করাকালীল অপর একটি গ্রুপ বৈঠকে হামলা চালায়।

এ সময় ধাক্কাধাক্কি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগর বলেছেন,

তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছাত্রদল নেতা আল মোহাম্মদ হিরুর খাজা মার্কেটস্থ দোকানে বৈঠক করার সময় তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলা চালায়।

এ সময় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন অবহিত হয়ে তিনি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস প্রদান করেন।

তবে স্থানীয়ভাবে তাদের দলীয় উত্তেজনা এখনো রয়েছে বলে জানা যায়।

বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট বিকালে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরীর উদ্যোগে দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া আনন্দনগর কমিউনিটি সেন্টারে ডা. শাহাদাত হোসেনকে প্রধান অতিথি করে প্রথমে সদস্য সংগ্রহ ফরম ও পরে সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ করেন।

সে অনুষ্ঠানে তাদের অপর একটি গ্রুপ অনুপস্থিত থাকে। পরবর্তীতে ঐ গ্রুপটি গত ৮ আগস্ট বিকালে বরমা বাংলা বাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে পুনরায় সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অভিযান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

সে অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথি এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. মিজানুল হক চৌধুরী প্রধান বক্তা ছিলেন।

সে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নগর বিএনপির সভাপতির সাথে একই গাড়ীতে সিরাজুল ইসলাম সওদাগর আসলে ঐ গ্রুপটি তাকে মেনে না নিয়ে সভাস্থলে আসতে দেননি। তিনি সভাস্থলের কিছু দূরে নগর বিএনপির সভাপতির গাড়ীতে বসে থাকেন।

ফলে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও এড. মিজানুল হক চৌধুরী সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে বিরোধ থেকে যায়।

সে বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল ৯ আগস্ট চন্দনাইশ সদর এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় একই গ্রুপের দুই প্রতিপক্ষ।

এদিকে চন্দনাইশে কেন্দ্রীয় বিএনপির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মহসিন জিল্লুর করিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. নুরুল ইসলামও পৃথক পৃথকভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফলে চন্দনাইশ বিএনপি চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তাদের কার্যক্রম তথা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.