মো. দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ::চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-৩, দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-১, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে-২টি, জোয়ারা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ৪টি চিকিৎসকের পদ খালি রয়েছে। সে সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে এক্সরে মেশিন, এক সপ্তাহ ধরে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স। ফলে চন্দনাইশে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে।
উপজেলা সদরস্থ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আর এম ওসহ ৩ জন মেডিকেল অফিসার, দোহাজারীতে ১ জন কনসালটেন্ট, ১ জন মেডিকেল অফিসার। তাছাড়া কাঞ্চনাবাদ, ধোপাছড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও জোয়ারা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১ জন করে ৩ জন মেডিকেল অফিসারসহ ৭ জন মেডিকেল অফিসারের পদ খালি রয়েছে। সে সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল অবস্থায় আছে।
দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সটি চালক না থাকায় দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আলম বলেছেন, যে সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক সংকট রয়েছে, সেখানে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডেপুটেশনে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন চালু হওয়ার কারণে এনালগের এ মেশিনটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় ও ডিজি অফিসে এক্সরে মেশিনের জন্য কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সেটি মেরামতের জন্য সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী নিজ অর্থায়নে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। দোহাজারীতে চালক সংকটের কারণে এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে ডেপুটেশনে চালক দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে।