‘হজ ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি বরদাশত করা হবে না’

0
সিটিনিউজ ডেস্ক:: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, স্বাচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে  হজ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করেছে। কারো গাফিলতি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অসহযোগিতায় এ কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে তা বরদাশত করা হবে না, এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এখনও প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা হয়নি, ১৬টি এজেন্সি এখনও একজন হজ যাত্রীও পরিবহন করেনি। অন্যদিকে অভিযোগ এসেছে অনেক হজ এজেন্সি হাজিদের বাড়িভাড়া করেছে ২০ আগস্টের পর এটি সত্যি হলে ২০ আগস্টের পর যে চাপ তৈরি হবে তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় এয়ারক্রাফট পাওয়া যেমন দুষ্কর হবে তেমনি অতিরিক্ত স্লটও পাওয়া যাবে না। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হজযাত্রীর অভাবে ইতোমধ্যে বিমানের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যা বিমানকে আর্থিক ক্ষতি ও ইমেজ সংকটের মুখোমুখি করেছে। এর দায় বিমানের ছিলনা। তবুও ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যরিয়ার হিসেবে হজযাত্রীদের পরিবহন নিশ্চিত করতে বিমান প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য হজ ফ্লাইটের সময়সীমা ২৬ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করতে ‘জেনারেল অথরিটি অফ সিভিল এভিয়েশন, সৌদি আরবের’ প্রতি অনুরোধ পত্র প্রেরণ করা হবে। নতুন পাওয়া ১৪টি স্লটের অতিরিক্ত আরো সাতটি স্লট পরিচালনা করতে আগস্ট থেকে বিমানের আবুদাবির তিনটি, ব্যাংককের তিনটি, দোহার পাঁচটি, দুবাইয়ের একটি, কাঠমুন্ডুর দুইটি, কুয়ালালামপুরের একটি, লন্ডনের তিনটি, মাস্কাটের একটি, রিয়াদের তিনটি এবং দাম্মামের দুইটি ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হবে। এবং মালেশিয়া থেকে লিজকৃত একটি এয়ারক্রাফট ২০ আগস্ট থেকে হজ পরিবহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার সকালে কুর্মিটোলাস্থ বিমানের প্রধান কার্যালয়ে হজ সংক্রান্ত জরুরি সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় জানানো হয় এ বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হজার ১৯৮ জনের ৬২ হাজার ৫৪৭ জন ইতোমধ্যে সৌদি গমণ করেছেন যার মধ্যে বিমান ২৯ হাজার ৩৭৩ জন এবং সৌদিয়া ৩৩ হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী বহন করেছে।
সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) এনামুল বারী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জিয়াউল হক, বিমানের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ হজ্জ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.