আয়কর আদায়ে কঠোর হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

0

সিটিনিউজবিডি  :    আয়কর  জমাদানে ব্যর্থ করদাতাদের বিষয়ে এবার কঠোর হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) আছে, অথচ আয়কর বিবরণী জমা দিচ্ছেন না-এমন করদাতাদের শনাক্ত করে জরিমানাসহ কর আদায় করা হবে। কারণ চলতি অর্থবছরে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৮ লাখ ই-টিআইএনধারী থাকলেও প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ১০ লাখ থেকে ১১ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণী জমা দেন। বাকি প্রায় সাত লাখ ই-টিআইএনধারীই তাদের আয়কর বিবরণী জমা দেন না। এবার আয়করের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ই-টিআইএনধারী প্রত্যেক করদাতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১১টি পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার মধ্যে অগ্রিম আয়কর আদায়ে সার্কেলভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করা, তালিকাভুক্ত করদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, আয়কর বিবরণীর ভিত্তিতে কর দিতে ব্যর্থ করদাতাদের জরিমানা করা উল্লেখযোগ্য। তবে বছরই বাজেট পাসের পর খাতভিত্তিক রাজস্ব আদায়ে এ ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে থাকে এনবিআর।

এনবিআর সূত্র জানায়, কর আদায় বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ফাঁকি বন্ধে কঠোর অবস্থানও নিয়েছে এনবিআর। এ ছাড়াও বকেয়া কর আদায় কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। জরিপে পাওয়া করযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে কর আদায় করা হবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের আয়কর অনু বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিগত বছরগুলোতে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ করদাতাদের বিষয়ে নমনীয় মনোভাব দেখানো হলেও এবার কঠোর হবে এনবিআর। কারণ বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। সেক্ষেত্রে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। এই বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আয়কর অনু বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য এনবিআরের আয়কর অনু বিভাগ একটি কঠোর পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে জানান তিনি।

এনবিআরের আয়কর অনু বিভাগের পরিকল্পনায় এবার বড় অঙ্কের বকেয়া করদাতাদের তালিকা তৈরি করা, উেস আয়কর আদায়ে টিম গঠন করা, এডিআরের মাধ্যমে বকেয়া কর আদায় করা, হাইকোর্টে বিচারাধীন রিট ও রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি করা, করদাতা বৃদ্ধিতে জরিপ চালানো, অডিট মামলা নির্বাচন ও তালিকা তৈরি এনবিআরের পরিকল্পনায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর হল আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার মাস। আয়কর বিবরণী জমা না দিলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে আয়কর অধ্যাদেশে। নির্ধারিত সময়ে আয়কর বিবরণী জমা না দিলে এককালীন এক হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য বাড়তি ৫০ টাকা হারে জরিমানা করা হবে। তবে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে কেউ সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের সহকারী কর কমিশনার বরাবরে আবেদন করলে নির্ধারিত সময়ের পরও বিবরণী জমা নেয় এনবিআর।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.