সাত মাস পরও চালু হয়নি খোদারহাট সেতুর এপ্রোচ সড়ক
মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ :: উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শঙ্খনদীর উপর ৫ম খোদারহাট সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার ৭ মাস পরও এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। স্থানীয়দের যাতায়তে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। অভিযোগ উঠেছে একজন জনপ্রতিনিধির নেপথ্যে এ কাজটি করায় তদারকি হচ্ছে না যথাযথভাবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চন্দনাইশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শঙ্খনদীর উপর ৫ম খোদারহাট সেতুটি নির্মাণের পর এপ্রোচ সড়কের কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
চলতি বছর ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এপ্রোচ সড়কের কাজ উদ্বোধন করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে স্থানীয়দের যাতায়তে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
’স্থানীয়দের অভিযোগ চন্দনাইশের একজন জনপ্রতিনিধি এ কাজটি নেপথ্যে করে যাওয়ার কারণে যথাযথভাবে তদারকি হচ্ছে না। তাছাড়া কাজের মান নিয়েও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে চলতি বছর মে মাসে সরজমিনে কাজ দেখতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারমানের সম্মুখে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বৈলতলী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল হোসেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলাও হয়েছে। কিন্তু এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হয়নি অদ্যাবধি। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও যেন বলার এবং দেখার কেউ নাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ যে ব্যক্তির লাইসেন্সে কাজটি করা হচ্ছে তিনি নিজে কাজটি না করে চন্দনাইশের একজন প্রতিনিধি এ কাজটি করার কারণে কাজে গাফেলতি ও অনিয়ম হচ্ছে।
সে সময় জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী সভায় একজন প্রতিনিধি প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখে বলেছিলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ করে বৈলতলীবাসীর জন্য খোদারহাট সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
কিন্তু চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সে এপ্রোচ সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কবে নাগাদ শেষ হবে কেউ বলতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এড. আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এপ্রোচ সড়কের কাজ অধিকাংশ শেষ করতে পারেনি। ব্রীজের দক্ষিণ পাশে ২টি কালভার্ট নির্মাণ করলেও এপ্রোচ সড়কের কাজ তেমন এগুইনি।
তাছাড়া গত বন্যায় সড়কের একটি অংশ পানির ঢলে ভেস্তে যায়। এখন বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজ ডিসেম্বর মাসের আগে শেষ করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। একইভাবে উত্তর পার্শ্বে মাত্র দেড়শ ফুট এপ্রোচ সড়কের কাপেটিং এবং অন্যান্য কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার। এপ্রোচ সড়ক সংলগ্ন ড্রেইনের কাজ এগিয়ে চললেও সড়কের কাজের তেমন অগ্রগতি নেই।
এ ব্যাপারে তিনি এলাকাবাসী ও জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগাদার মাধ্যমে এপ্রোচ সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।