ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা

0

গোলাম সরওয়ার,সিটিনিউজ : ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা । সবাইকে জানাই সিটিনিউজবিডি ডট কম পরিবারের পক্ষ থেকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদুল আযহার ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো- নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে নির্দিষ্ট সময়ে তারই নামে জবেহ করা। মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে জবাই করা পশুর মাংস বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, কেবল নিয়ত ছাড়া। ঈদুল আজহার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে, মনের পশু অর্থাত্ কুপ্রবৃত্তিকে পরিত্যাগ করা। ‘মনের পশুরে কর জবাই পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই..’।

পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতি বছর জিলহজ মাসের দশ তারিখে বিশ্ব মুসলিম ময়দানে নামাজ আদায়ের পর যার যা সাধ্য ও পছন্দ অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।

আরবি ‘আজহা’ এবং ‘কোরবান’ উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উত্সর্গ। কোরবানি শব্দের উত্পত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ আত্মোত্সর্গ নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা ও অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া ইত্যাদি।

কোরবানির ইতিহাস অতি প্রাচীন। সৃষ্টির প্রথম মানব আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর দু’পুত্র হাবিল ও কাবিল সর্বপ্রথম কোরবানি করেন। মহান আল্লাহ পাক ইব্রাহিম (আঃ) কে তাঁর শেষ বয়সে প্রিয়তম পুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে কোরবানি করার নির্দেশ দেন। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ৮৫ বছর বয়সে হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে পান। এ অবস্থায় ছেলেকে কোরবানি দেয়া এক কঠিন পরীক্ষা। কিন্তু তিনি তাঁর মহান রবের হুকুমে নত হলেন।

নিষ্পাপ পুত্র ইসমাঈল (আঃ) ও নিজেকে আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। একপর্যায়ে পিতা তাঁর পুত্রকে জবাই করতে যখন উদ্যত ঠিক তখনই মহান আল্লাহর কাছে ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হলেন ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.