শহিদুল ইসলাম, সিটিনিউজ::মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছের তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমনি এরদোগান।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারাও মানুষ, তারা মুসলিম। তাদের উপর মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনী ও রাখাইনদের দিয়ে যে বর্বরোচিত হামলা, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা বিশ্বের মুসলিমদের এক হয়ে প্রতিহত করা উচিত বলে মনে করেন। তিনি ক্যাম্পে দু’ঘন্টা অবস্থান করার পর বেলা ৩টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
এসময় ফার্স্ট লেডির সাথে ছিলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভোফোগল, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল টুটুল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের, আইওএম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর পেপি ছিদ্দিকী ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা উগ্রপন্থি দমনের নামে রাখাইন রাজ্যে মুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন, অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, হত্যা, গণধর্ষন করায় রোহিঙ্গারা বাড়িঘর ফেলে এপারে চলে আসে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা ১০টি আশ্রিত রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। বস্তির রোহিঙ্গাদের দেখতে এলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি এমনি এরদোগান।