সিটিনিউজ ডেস্ক::মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নিপীড়নকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি আজ (সোমবার) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। এ সময় কমিশনের সদস্য নুরুন্নাহার ওসমানীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট মিয়ানমার সরকারকেই সমাধান করতে হবে।’
‘এ লক্ষে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগও জরুরী। না হলে আন্তর্জাতিক কোড অফ জাষ্টিস-এ মিয়ানমারের বিচারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান গণমাধ্যমকে জানান রাখাইনে তিন হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম দেশটির সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার বাহিনীর অবরোধের মুখে গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এরপর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে পুঁতে রাখা হয় স্থলমাইন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের বেগে তারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর মুখপাত্র ভিভিয়ান জানান, গত কয়েকদিনে জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।