উখিয়া-টেকনাফের ১২টি স্পটে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরন শুরু

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া প্রতিনিধি : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেচলমান সহিসংসতার কারনে অনুপ্রবেশকৃত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ককসবাজার জেলার উখিয়া -টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্হা করা রোহিঙ্গাদের মাঝে সু্ষ্ট ত্রাণ বিতরণ করার লক্ষে জেলা প্রশাসন ১২টি স্পট নির্ধারন করেন। এর মধ্যে উখিয়ায় সাত টি স্পট।বাকী ৫টি টেকনাফে। ইতিমধ্যে ককসবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১২জন সুপার ভাইজিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। বাকী ৬০ জন কমর্কতা -কর্মচারী দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।

স্পট সমূহ উখিয়ার কুতুপালং অস্হায়ী ক্যাম্প১, কুতুপালং অস্হায়ী ক্যাম্প২, বালুখালী অস্হায়ী ক্যাম্প ১, বালুখালী অস্হায়ী ২, ময়নার ঘোনার পালংখালী, থাইনখালী বাঘঘোনার, হাকিম পাড়া, টেকনাফের পেীর সভা ও টেকনাফ,লেদা নয়াপাড়া হুীলা, বাহার ছড়া,শাহপরীর দ্বীপ,উনচিপ্রাং। মিয়ানমারের অারকান থেকে পালিয়ে অাসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ককসবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরন করার দেওয়া হলে ও সামাজিক সংগঠন,ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে এই কার্যত্রুম। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে চরম বিশৃঙ্খলা ।

ব্যক্তি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে কাপড়, ওষুধ ও খুচরা টাকার বান্ডিল ছুড়েও দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলন্ত গাড়ি থেকে এভাবে ত্রাণ দেওয়ায় রোহিঙ্গা নারী-শিশু আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণের কারণে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্ধারিত ১২টি স্পটে ত্রাণ দেওয়া হবে। এ স্পটগুলোর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগের ত্রাণও দেওয়া যাবে।

ককসবাজার – টেকনাফ সড়কের উভয় পাশে ‘ ফাঁকা মাঠের মধ্যে এ রকম হাজার হাজার কাপড় পড়ে আছে। অপরিকল্পিত ত্রাণ দেওয়ার কারণে গাড়ি থেকে ছুড়ে মারায় বৃদ্ধার হাতে পড়ছে বাচ্চার টি শার্ট, কিশোরের হাতে শাড়ি। এরই মধ্যে অনেকে আহতও হয়। কাজের চেয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বেশি। গাড়ীথেকে কেউ নোটের গোছা থেকে বের করে টাকা দিলে রোহিঙ্গারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করার ঘোষণা দেওয়া হলেও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলছে এই কার্যক্রম।

এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে চরম বিশৃঙ্খলা। আহত হচ্ছেন নারীরা। রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। ব্যক্তি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে কাপড়, ওষুধ ও খুচরা টাকার বান্ডিল ছুড়েও দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চলন্ত গাড়ি থেকে এভাবে ত্রাণ দেওয়ায় রোহিঙ্গা নারী-শিশু আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণের কারণে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্ধারিত ১২টি স্পটে ত্রাণ দেওয়া হবে। এ স্পটগুলোর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগের ত্রাণও দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়।

এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম চলার কথা স্বীকার করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহিদুর রহমান বলেন, ‘এখনও কিছু বিশৃঙ্খলা আছে। অাজ থেকে ১২টি স্পটে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

১২টি স্পট সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহিদুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পের আশেপাশে মোট ১২টা জায়গায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা এলোমেলোভাবে ত্রাণ বিতরণ করছেন, তারা বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। একটু কষ্ট করে ভেতরে গিয়ে বিতরণ করলে এ ধরনের পরিস্থিতি হত না। ‘যে যার মতো বিতরণ করছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.