শহিদুল ইসলাম, উখিয়া:কক্সবাজাররে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী গোজঘোনা এলাকায় অাশ্রয় নেওয়া এক হাজার রোহিঙ্গা পরিবার পানির নিচে দিন যাপন করছে। গত দুই দিন ধরে কোন কিছুই জুটেনি। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কান্নায় ওখান কার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।এখনো পযর্ন্ত কোন ত্রান পায়নি।গত দুই দিন ধরে প্রবল বষর্ন ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে রোহিঙ্গা দের ঝুপড়ি ঘর।এসব ঝুপঁড়ি ঘরে রাত্রি যাপন করা কষ্ট সাধ্য বলে জানিয়েছেন মিয়ারমারের বালুখালী গ্রাম থেকে অাসা মোহাম্মদ হাসান।
এতে ভেসে গেছে পলিথিনে সাজানো ঝুপড়ি সংসার। পানিতে ভিজে বসে থাকা আর নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখানের আশ্রয় গুছিয়ে নিয়ে আবারো পথের ধারে অবস্থান নিচ্ছে দুর্ভোগের শিকার অসহায় লাখো রোহিঙ্গা। মাথায় পুটলা ও অন্য সম্বল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ছুটছে অনিশ্চিত গন্তব্যে। পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে ঝুপটি ঘর ভেঙ্গে উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবির ও পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে অাশ্রয়ের খোঁজে যা কক্সবাজার জেলায় শনিবার মাঝ রাতে থেমে থেমে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ও রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালংয়ের পাহাড়ের পাদদেশে ও খোলা মাঠে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদেন দুভোগ সীমাহীন। মিয়ানমারের সামরিক,জান্তার পাশবিক নিযাতনের শিকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জীবন।
মঙ্গলবার সারা দিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। উখিয়া উপজেলার ইউনিয়নের বালুখালী গোজঘোনা এলাকায় অাশ্রয় নেয়া অাকিয়াবের মেদিনা গ্রামের মেীলভী সুলতান অাহাম্মদের মাওলানা সাঈদ সহ পুরো ত্রিশ জনের একটি পরিবার বালুখালী গোজঘোনা খালের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। বুছিদংরে রাজার বিল গ্রামের ধুলুমিয়া স্ত্রী অানোয়ারা বেগম(২৫) বালুখালী খালের পাশে কথা হয়।তিনি বলেন, খালের ওপারের খোলা মাঠে ১ হাজারো বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা অাওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোজাফর অাহাম্মদ বলেন, বালুখালী ক্যাম্পে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। কেউ স্বচ্চল নয়। সবাই পলিথিনের চালায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করলেও ঝড়ো হাওয়ায় অনেক বিপন্ন হয় গেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ উজ্জল কান্তি পাল বলেন সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গল বার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্য করা হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার। এধরণে বর্ষণ আরো দু’দিন অব্যহত থাকতে পারে। সাথে ঝড়ো হাওয়াও।